× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যে যেখানে আছেন সেখানে ঈদ করুন

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১০ মে ২০২১, সোমবার
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা মহামারির মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতে গিয়ে প্রিয়জনদের মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলবেন না। তাই যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই ঈদ উদ্‌যাপন করুন। তিনি বলেন, ঈদের সময় মানুষ পাগল হয়ে গ্রামে ?ছুটছে। কিন্তু এই যে আপনারা একসঙ্গে যাচ্ছেন, এই চলার পথে ফেরিতে হোক, গাড়িতে হোক, যেখানে হোক- কার যে করোনাভাইরাস আছে আপনি জানেন না। কিন্তু আপনি সেটা বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আপনার পরিবারের কাছে। মা, বাবা, দাদা, দাদি, ভাইবোন- যেই থাকুক, আপনি কিন্তু তাকেও সংক্রমিত করবেন। তার জীবনটাও মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলে দেবেন। রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ঝুঁকি নিয়ে ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা ঈদে কোথাও না গিয়ে নিজের ঘরে থাকতে কি ক্ষতিটা হয়? কাজেই আপনারা ছুটোছুটি না করে যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকেন। সেখানে নিজের মতো করে ঈদটা উদ্‌যাপন করুন। আপনারা একটু ধৈর্য ধরেন, নিজের ভালো চিন্তা করেন। সঙ্গে সঙ্গে যার যার পরিবারের ভালোর চিন্তা করুন।
মহামারিতে সারাবিশ্বেই যে মানুষের প্রাণহানি ঘটছে, সে কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশে প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে। এবং এই প্রতিবেশী দেশে যখন হয়, তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেশে আসারও একটা সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য আগে থেকেই আমাদের নিজেদেরকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। নিজেদেরকে সেভাবে চলতে হবে যেন সবাই করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকতে পারি।
সবাইকে স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনাগুলো মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সময়ে আপনারা একটু মাস্ক পরে থাকবেন। সাবধানে থাকবেন। কারণ আবার নতুন আরেকটা ভাইরাস (করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট) এসেছে, এটা আরো বেশি ক্ষতিকারক। যাকে ধরে, সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু হয়। সেই জন্য আপনি নিজে সুরক্ষিত থাকেন, অপরকে সুরক্ষা দেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এপ্রিল থেকে লকডাউনের বিধিনিষেধ জারি রেখেছে সরকার। এর মধ্যে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও ঈদে প্রিয়জনের কাছে ফেরার তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মানুষ শহর থেকে গ্রামে ছুটছে নানাভাবে। ঢাকা থেকে বিভিন্ন ছোট যানবাহন, এমনকি পণ্যের ট্রাক বা পিকআপে চড়ে ভেঙে ভেঙে মানুষ ছুটছে উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায়। গাদাগাদি করে তাদের পদ্মা পার হওয়া ঠেকাতে দিনের বেলায় ফেরি বন্ধ রেখে এবং বিজিবি মোতায়েন করেও কাজ হচ্ছে না।
অনুষ্ঠানে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের এক হাজার ৪৪০ জন আদিবাসীর মধ্যে প্লট বরাদ্দ দেন প্রধানমন্ত্রী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর