নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের এক মেম্বার প্রার্থীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল সকালে নিহত মেম্বার প্রার্থী জোবায়েরের ছেলে মেহেদী হাসান জীবন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রম্যান নুরুল ইসলামকে ও তার নিকট আত্মীয় ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল বাতেনকে প্রধান করে ৫৫ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া আরো ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। গত শুক্রবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরচেঙ্গা বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় জোবায়ের হোসেন (৪৫) নামে এক মেম্বার প্রার্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৪ জন। নিহত জোবায়ের সোনাদিয়া ইউনিয়নের মধ্য চরচেঙ্গা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে। সে সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী ছিল।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকালে তার গ্রামের বাড়ি সোনাদিয়া ইউনিয়নের মধ্য চরচেঙ্গা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহতের ছেলে জীবন বলেন, ঘটনার দিন সকালে তার বাবা চরচেঙ্গা বাজারে তাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছিল। এ সময় উত্তর দিক থেকে বাতেন মেম্বারের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে বাবাকে আক্রমণ করে। প্রথমে গুলি করে পরে পায়ের রগ কেটে দিয়ে চলে যায়। সন্ত্রাসীরা সবাই বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের সমর্থক। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় আরো তিনজন আহত হয়েছেন। জীবন আরো জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার পিতা জোবায়ের মেম্বার প্রার্থী হলেও সে ছিল আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মেহেদী হাসানের একনিষ্ঠ সমর্থক। বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে মাঠ দখলের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের লোকজনের সঙ্গে নির্বাচনের প্রথম থেকে তার বাবার বিরোধ চলছিল। এ ব্যাপারে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের বলেন, এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামিসহ অন্যান্য আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।