সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁওয়ের বাদেআলী গ্রামে উত্তরাধিকারী সূত্রে প্রাপ্ত ৩ দশমিক ৪৫ একর ভূমির ওপর সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মালিকানার বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শনের পরেও এ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করা হচ্ছে না। রোববার সিলেট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন বাদেআলী গ্রামের মৃত আব্দুল আলী চৌধুরীর পুত্র মো. সেলিম চৌধুরী। তিনি জানান, প্রকল্পের কাজ বন্ধের জন্য তিনি বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে আবেদন করেও কোনো সুফল পাননি। আর লকডাউন চলার কারণে তিনি আদালতেও যেতে পারছেন না বলেও জানান। লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, বাদেআলী মৌজায় ৩ দশমিক ৪৫ একর ভূমি তার দাদা মরহুম আব্দুর রাজ্জাকের উত্তরাধিকারীরা ভোগদখল করে আসছেন। এ ভূমি মরহুম আব্দুর রাজ্জাক পিতা মৃত মো. আমজাদ উল্লাহ, খরিদসূত্রে মালিক ও দখলদার থেকে ফসলাদি ফলাইয়া ভোগ ব্যবহার করে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে তিনিসহ মো. দারা মিয়া চৌধুরী, মোছাম্মৎ হেনা বেগম চৌধুরী, মোছাম্মৎ পান্না বেগম চৌধুরী, মোছাম্মৎ শোকরানা বেগম চৌধুরী, মোছাম্মৎ রত্না বেগম চৌধুরী সর্বপিতা মৃত আব্দুল আলী চৌধুরী, মোছাম্মৎ ফয়জুন্নেছা, স্বামী মৃত আব্দুল আলী চৌধুরী, মো. নিজাম উদ্দিন চৌধুরী (প্রতিবন্ধী), মোছাম্মৎ সাজেদা বেগম চৌধুরী, মোছাম্মদ মাজেদা বেগম চৌধুরী, পিতা মৃত মনাজ্জির আলী চৌধুরী, আফিয়া বেগম চৌধুরী স্বামী মৃত মনাজ্জির আলী চৌধুরী, মো. আজমল আলী চৌধুরী, রুনা বেগম চৌধুরী, সমতা চৌধুরী, রোকশানা বেগম চৌধুরী, সর্বপিতা মৃত মোজাক্কির আলী চৌধুরী তপশীল বর্ণিত ভূমির ফসল উত্তোলন করে আসছেন।’ লিখিত বক্তব্যে বলা হয়- এই ভূমি ভুলক্রমে জরিপের চূড়ান্ত পর্চায় ১ নং খাস খতিয়ানে ভুল রেকর্ড হয়েছে। উক্ত ভূমিতে কিছুদিন আগে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর তৈরি করতে প্রশাসন উদ্যোগে নেয়।
তারা সম্পূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে আদালতে যাবেন, কিন্তু লকডাউনের কারণে তাও পারছেন না। এ অবস্তায় তারা ন্যায়বিচারের স্বার্থে ৬ মাসের সময় প্রদান করে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।