× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কুমিল্লা-৫ আসনের উপনির্বাচন /সাজ্জাদের পক্ষে একজোট আওয়ামী লীগ

বাংলারজমিন

জাহিদ হাসান, কুমিল্লা থেকে
১১ মে ২০২১, মঙ্গলবার

কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা সাজ্জাদ হোসেন স্বপনের মনোনয়ন প্রত্যাশায় তার পক্ষে একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন দল ও দলের অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থেকে সেই ছাত্রজীবন হতে পর্যায়ক্রমে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাধ্যমে তিনি বিশেষ করে ওই এলাকায় ধীরে ধীরে একজন জননন্দিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। এ আসনের এমপি ও সাবেক আইনমন্ত্রী এডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে নির্বাচন কমিশন এ আসনটি শূন্য ঘোষণার পর থেকে সাজ্জাদ হোসেনের পক্ষে এলাকায় ব্যাপক জনমতের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে শুরু করে এবং নৌকার প্রার্থী হিসেবে তাকে মনোনয়ন প্রদানের দাবি ওঠে। তাকে ছাড়াও এ আসনে অন্তত দেড় ডজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নামও শোনা যাচ্ছে।  
জানা যায়, এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে একজন আদর্শবান রাজনীতিক প্রয়াত আবদুল মতিন খসরুর অত্যন্ত আস্থাভাজন সাজ্জাদ হোসেন স্বপন। তিনি ১৯৭৯ সালে বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়ন শাখা এবং ১৯৮১ সালে কুমিল্লা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য হন। ১৯৮৬ সালে তিনি বুড়িচং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৮৭ সালে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, ১৯৯০ সালে বুড়িচং উপজেলা যুবলীগের
 সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে তিনি বুড়িচংয়ের বাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতি কুমিল্লা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯৪ সালে ওই সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি স্বর্ণপদকও লাভ করেন। ১৯৯৩ সালে আওয়ামী যুবলীগের জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হন। তিনি ১৯৯৫ সালে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ১৯৯৭ সালে আওয়ামী যুবলীগ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি, ২০০৩ সালে বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগের জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, ২০০৯ সালে বুড়িচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতি কুমিল্লা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে প্রাথমিক শিক্ষায় শতভাগ পাস করায় চট্টগ্রাম বিভাগে বুড়িচং শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে সনদ ও সম্মাননা গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এলাকায় শিক্ষা ও সামাজিক কার্যক্রমেও সাজ্জাদ হোসেনের রয়েছে ব্যাপক অবদান। তিনি কালিকাপুর আবদুল মতিন খসরু সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, আবিদপুর স্কুল এন্ড কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি, নিমসার তাহেরা জুনাব আলী বালিকা বিদ্যালয় কমিটির সাবেক সভাপতি, বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজ ও ময়নামতি স্কুল এন্ড কলেজ কমিটির দাতা সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
কুমিল্লা-৫ সংসদীয় আসনের দুইটি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রামে তার সরব পদচারণা অব্যাহত আছে। দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, সাজ্জাদ হোসেন ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থেকে এলাকার উন্নয়নে নিবেদিতভাবে কাজ করে আসছেন। আসন এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে তার পরিচিতি রয়েছে। প্রয়াত এমপি আবদুল মতিন খসরুর আস্থা ও স্নেহভাজন রাজনীতিক সাজ্জাদ হোসেন। বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সাজ্জাদ হোসেনের বিকল্প নেই। দলের দুই উপজেলার নেতাকর্মীরা সাজ্জাদ হোসেনকে দলীয় প্রতীক নৌকার মনোনয়ন প্রদানের দাবি জানান। মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে সাজ্জাদ হোসেন স্বপন বলেন, ‘আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা প্রয়াত এমপি আবদুল মতিন খসরুর আমৃত্যু পাশে থেকে এলাকার উন্নয়ন ও দলের জন্য কাজ করেছি, এখনো করে যাচ্ছি। তার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ সকল মহলের সহযোগিতা ও পরামর্শ চাই।’
এ ছাড়াও এ আসনে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও ব্যবসায়ী মনোনয়ন পেতে লবিং-দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে কৌশলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার চালাচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন- প্রয়াত মতিন খসরুর স্ত্রী সালমা সোবহান খসরু, ছোট ভাই জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট আবদুল মমিন ফেরদৌস, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান, বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আবুল হাসেম খান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক এহতেশামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি, এফবিসিসিআই পরিচালক ও কুমিল্লা (উত্তর) জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হেলেনা জাহাঙ্গীর, সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ঢাকার আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী, বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আল আমিন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুস ছালাম বেগ, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মানিকসহ অন্তত দেড় ডজন প্রার্থী।
দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় সংগঠন। এখানে মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকা অনেক বড় হতেই পারে। এসব সমস্যা না। তফসিল ঘোষণার পর দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর