× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে দেয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১১ মে ২০২১, মঙ্গলবার

বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন দল ও সংগঠন। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা এবং তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার বিষয় নিয়ে গত কয়েকদিনে সরকারের পক্ষ থেকে যা করা হয়েছে তাতে আমি বিস্মিত এবং উদ্বিগ্ন। সাজাপ্রাপ্ত আসামির বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে আইনি বাধার কথা আইন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, তার ব্যত্যয় ঘটিয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামির বিদেশে চিকিৎসার নজির এ দেশে রয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার পরও জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আব্দুর রবকে ১৯৭৯ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠানো হয়েছিল। এক্ষেত্রে মানবিক বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছিল সবার আগে। বেগম জিয়ার ক্ষেত্রেও তেমনটি আমি আশা করেছিলাম।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ওনার সার্বক্ষণিক উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে নাজুক অবস্থা তাতে দেশে থেকে ওনার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে মানবিক দিক বিবেচনায় সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী এবং একজন বীর উত্তমের স্ত্রী হিসেবে বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর এসেও সরকার মানবিক মূল্যবোধের ন্যূনতম পরিচয় দিতে ব্যর্থ হলো। যে প্রতিহিংসার সংস্কৃতি বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার চালু করেছে তা কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা ভেবে আমি শঙ্কিত। সঠিক চিকিৎসার অভাবে বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে, তার দায়ভার সরকারকে বহন করতে হবে।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকার অনুমতি না দেয়ায় গভীর উদ্বেগ জানাচ্ছি। সরকারের এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই অমানবিক। আমরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য মানবিক আহ্বান জানাচ্ছি।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি (একাংশ) এক বিবৃতিতে জানায়, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো এই সরকার কতোটা অমানবিক। গোটা রাষ্ট্র ও সংবিধানকে তারা দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে তারা ভয় পায়।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দেয়া নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) জানায়, বেগম খালেদা জিয়া একজন ৭৬ বছর বয়সী নারী। গত ৩রা মে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তার অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন। বর্তমান সরকার বেগম খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তারা তাকে বিদেশে উন্নত ও সুচিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না। অথচ মানবতার কাছে আইন কোনো বিষয় নয়। আমরা সরকারের এহেন অগণতান্ত্রিক ও বেআইনি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অসুস্থ খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রশ্নে সরকারের নেতিবাচক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত অমানবিক ও ধৃষ্টতাপূর্ণ। বিনা চিকিৎসায় বছরের পর বছর কারান্তরীণ থাকায় বেগম জিয়া এখন গুরুতর অসুস্থ। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়ার চিকিৎসক টিম বিদেশে নেয়ার সুপারিশ করলেও সরকার চিকিৎসা প্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি করেছে। অনেক সাজাপ্রাপ্তরা বর্তমান বিনা ভোটের সরকারের এমপি-মন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নিতে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। তার সঙ্গে সরকারের এহেন আচরণ ফ্যাসিবাদী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর