যুক্তরাষ্ট্রের একজন নারী ফেসবুকের মাধ্যমে ৪৬ বছর আগে হাই স্কুলে থাকতে তার হারিয়ে যাওয়া একটি আংটি ফিরে পেয়েছেন। ওই নারীর নাম ম্যারি গাজাল বেয়ার্ডসলি, বাড়ি মিশিগানে।
তিনি জানান, ১৯৭৫ সালে তার ওই আংটিটি হারিয়েছিল এবং সেটি পাবার আশা পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ক্রিস নর্ড নামের একজন জানান, আমার কাছে এমন কিছু রয়েছে যা সম্ভবত আপনার। তিনি জিনিসটি দেখে হতবাক হয়ে পড়েন। ম্যারি জানান, প্রথমে তিনি ক্রিসের কথা বিশ্বাস করেন নি। ভেবেছিলেন, স্প্যাম বা ভুয়া কিছু হবে।
ম্যারি বলেন, "ক্রিস আংটির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করলে তা অনেকেই শেয়ার করেন। সে ২০ বছর ধরে এর মালিকের খোঁজ করছিল।"
নিউজ ওয়েবসাইট ইউপিআই সূত্রে ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়ঃ
১৯৭৫ সাল। ম্যারি মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ফ্লিন্টে পাওয়ারস ক্যাথলিক হাই স্কুলে পড়তেন।
একদিন শ্রেণিকক্ষে হারিয়ে যায় তার আংটি। ৪৫ বছর পেরিয়ে যাওয়ায় একেবারেই ভুলে গিয়েছিলেন সেটির কথা। ফিরে পাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না!
এদিকে সম্প্রতি ক্রিস প্রকৃত মালিক খুঁজতে আংটির ছবি সংযুক্ত করে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। অনেকেই সেটি শেয়ার করেন। ম্যারির স্কুলের পেজেও কেউ একজন পোস্টটি শেয়ার করেন। সেখানেই একজন এটিকে ম্যারির হারিয়ে যাওয়া আংটি বলে শনাক্ত করেন। পরে তার কাছ থেকেই তথ্য নিয়ে ম্যারির সঙ্গে যোগাযোগ করেন ক্রিস।
ম্যারি বলেন, "আমি ক্রিসের প্রোফাইলে যাই। সেখানে আমার হারানো আংটির ছবি ছিল আর তার ক্যাপশনে লেখা ছিল, প্লিজ এটা ছড়িয়ে দিন।"
এত বছর পর আংটি খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে ক্রিস জানান, সেটি আসলে তার ভাই খুঁজে পেয়েছিল। তাও দুই দশক আগে। আংটিটি কাঠের তৈরি একটি ছোট বাক্সে ছিল। আবর্জনার মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল।
ক্রিস জানান, পরের ২০ বছর তাদের পরিবারের কাছেই রয়ে গিয়েছিল ম্যারির হারিয়ে যাওয়া আংটি। সম্প্রতি তার মনে হয়, এই আংটি প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দেওয়া উচিত। তাই ফেসবুকে আংটির আসল মালিক খুঁজতে নামেন তিনি।
এত গেল গত ২০ বছরের কথা। তার আগের ২৬ বছর এই আংটি কোথায় ছিল? এমন প্রশ্নের উত্তর নেই ক্রিস কিংবা ম্যারি কারো কাছেই। ম্যারি বলেন, "২০ বছর আগে আংটিটি খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছে ক্রিস। আমরা জানি না, তার আগের ২৬ বছর এটা কোথায়, কীভাবে ছিল।"