বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০০৮ দিন ৪৫৫দেশের জন্য আমি অনেক কাজ করেছি এবং জনগণের উন্নতির দিকে চেয়ে আমি আমার জীবনে বহুক্ষেত্রে আত্মস্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ত্যাগের নজির রেখেছি। তবে আমার ব্যর্থতার জন্যও আমি সমানভাবে অনুতপ্ত। ক্ষমতায় থাকা আর না থাকার সময় যেই অবস্থায়ই হোক না কেন, একজন সচেতন রাজনীতিবিদ হিসেবে বিশেষ করে মানবাধিকার সংক্রান্ত এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিষয়ে আমার সঠিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেসব ক্ষেত্রে আমি ব্যর্থ হয়েছি সেগুলো পুনর্মূল্যায়ন করে ও স্মরণ করে আমি নিদারুণ অপরাধবোধে আক্রান্ত হই। আমি এজন্য অনুতপ্ত যে, সবরকম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমি মানবাধিকার কমিশন ও জাতীয় ন্যায়পাল গঠন করতে পারিনি, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথকীকরণ নিশ্চিত করতে পারিনি, আরো অনুভব করি যে, আমি কারাগার সংক্রান্ত কয়েকটি সংস্কারের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে মনিটরিং করতে পারিনিÑ যার মধ্যে রয়েছে সদাচরণের প্রেক্ষিতে দীর্ঘমেয়াদী সাজাপ্রাপ্তদের রেমিশন প্রতিবছর তিন থেকে চার মাসে বৃদ্ধিকরণ, তিন-চতুর্থাংশ সময় সাজা ভোগের পর বাকি সাজা মওকুফ করে মুক্তি দেওয়া, সর্বোচ্চ ৭ দিনের বেশি ডান্ডাবেড়ি ও শিকল ব্যবহার নিষিদ্ধ করা ইত্যাদি। এ দেখে আমি মর্মাহত যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এসব সংস্কারের কোনোটাই বাস্তবায়িত হয়নি। আমার নিজস্ব উদ্যোগে ৫৪ ধারা (সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে আটক) এবং ১৬৭ ধারা (রিমান্ড) সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সুপ্রীম কোর্টের বিচারের ভিত্তিতে রেকর্ডকৃত (২৩ বিএলডি পৃ. ১১৫) রায় অনুযায়ী আমি সংশোধনীর যে সুপারিশ করেছি তাও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতার কারণে বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার ১১ জুলাই ২০০৮ দিন ৪৫৬হাইকোর্ট ডিভিশন থেকে জামিন এবং মুক্তিসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সবরকম কাগজপত্র জেল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছার পরেও উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুসারে দুজন সাবেক সাংসদ জয়নাল আবেদীন ফারুক ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে ডিআইজি কারাগার থেকে মুক্তি দেননি। তাহলে দেশের সুপ্রীম কোর্টের চাইতে উচ্চতর কর্তৃপক্ষ হিসাবে অবস্থান করছেন কারা? রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে আনীত প্রতিটি মামলায় প্রতিটি জামিনের ক্ষেত্রে সরকার একই রকমের আচরণ করছেন যা আদালত অবমাননার শামিল এবং সংবিধানে বিধৃত ও গ্যারান্টিকৃত মানবাধিকারের পরিপন্থী। এখন প্রতিনিয়ত এও আশঙ্কা করা হয় যে, কাউকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও জেলগেটের বাইরে আবার তাকে গ্রেফতার করা হবে এবং বর্তমান সরকারের এটা একটি অতি পরিচিত কৌশল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার ১২ জুলাই ২০০৮ দিন ৪৫৭চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের জন্য করিডোর দেওয়ার ওপর ভারত প্রচ- চাপ প্রয়োগ করছে।
এই ব্যাপারে পত্রিকায় অত্যন্ত পরিষ্কার ভাষায় বিবৃতি দিয়েছেন ভারতের হাইকমিশনার। এ মাসের ১৭ তারিখে এ নিয়ে সচিব পর্যায়ের এক বৈঠক বসছে।
কেবলমাত্র দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নয়, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অর্থনৈতিক জীবনেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমবৃদ্ধি নিদারুণ আঘাত হেনেছে- স্থির আয়ের লোকজনের বেলায় তো কথাই নেই।
আমার বোন নাফিসা ও অন্যরা ফল ও ফুল নিয়ে এসেছিল আমাকে দেখতে। শহীদ এখনো চিকিৎসা নিচ্ছে ভারতে।
রবিবার ১৩ জুলাই ২০০৮ দিন ৪৫৮আপিল বিভাগের রায়ে জামিন পাবার পর জেলখানার বাইরে গিয়ে তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরীকে তাৎক্ষণিকভাবে আবার গ্রেফতার করার পর এবার আপিল বিভাগ তাকে পুনরায় জামিন মঞ্জুর করেছে। তবে তিনি ভয় করছেন যে, জেল থেকে বের হবার পর আবার তাকে গ্রেফতার করা হবে।
জয়নাল আবদীন ফারুকের বেলায় ঠিক তাই ঘটেছে। পুনঃগ্রেফতারের পর সুপ্রীম কোর্টের কাছ থেকে তিনি দ্বিতীয়বারের জন্য জামিন পান এবং এবার তাকে বিশেষ কোনো মামলা না থাকলে পুনঃগ্রেফতার না করার নির্দেশও দেওয়া হয়। কাজেই শেষ পর্যন্ত তাকে যেতে দেওয়া হয়। কি অস্বাভাবিক একটা পরিস্থিতিই না চলছে দেশটাতে!
সোমবার ১৪ জুলাই ২০০৮ দিন ৪৫৯নতুন প্রধান বিচারপতি কার্যভার গ্রহণের পর আপিল বিভাগ এখন তার পুরনো ঐতিহ্য অনুসরণ করছে এবং হাইকোর্ট ডিভিশনের কোনো অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের ওপর এখন আর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। ফলে হাইকোর্ট ডিভিশনের রায় আপিল বিভাগে স্থগিত না হয়ে যাওয়ায় সাদেক হোসেন খোকা, আওয়ামী লীগের খ ম জাহাঙ্গীর এবং জামায়াতের মতিউর রহমান নিজামী জামিনে ছাড়া পেয়ে বের হয়ে গেছেন কারাগার থেকে আরো অনেকেই এখন জামিনে মুক্তি পাবেন।
আমার থেরাপি ও দাঁতের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম হাসপাতালে। নতুন কোনো খবর নেই।
মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০০৮ দিন ৪৬০শেখ হাসিনার পূর্বব্যবস্থাকৃত বিদেশ গমনের পর দলের মধ্যম সারির নেতারা বুঝতে পেরেছেন যে, সরকারের বিরুদ্ধে আর কোনো জোরদার আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই আন্দোলন ও দলীয় কর্মকা- অনেকটা স্তিমিত হয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগ আরো উপলব্ধি করেছে যে, তাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো ভারত এবং বাংলাদেশের ওপর ভারতের কৌশলগত অবস্থানের কারণে ভারতের অবস্থানও এখন যথেষ্ট সুদৃঢ়। মঈন উদ্দীনের সেনাবাহিনীর সমর্থন লাভের পর বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আওয়ামী লীগই এখন ভারতের একমাত্র শক্তির উৎস নয় এবং এর ফলে আওয়ামী লীগ ভারতের ওপর আরো বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগ ভারতের হাতে পুরোপুরিভাবে বাঁধা পড়ে গেছে। ভারতের ওপর আওয়ামী লীগের নির্ভরশীলতা এভাবে বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের মৌলিক জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী বিষয়ে প্রতিবাদ জোগানোর মতো শক্তিও তাদের হ্রাস পেয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
কাজেই দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে এখন পারস্পরিক স্বার্থেই বর্তমান সরকারের সাথে সহযোগিতামূলক মনোভাব বজায় রেখে চলতে হবে। তাই শেখ হাসিনাসহ দলের অন্যান্য নেতার নামে যেসব মামলা দায়ের করা হয়েছে, বর্তমানের নয়া পরিস্থিতিতে সেগুলোর ওপরও তারা এখন খুব একটা গুরুত্ব আরোপ করছে না, কারণ সময়ান্তরে তারা সকলেই এসব মামলা থেকে ছাড়া পেয়ে যাবেন।
বুধবার ১৬ জুলাই ২০০৮ দিন ৪৬১জরুরি আইনের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে বিচারপতি চাকলাদার সকলকে জামিন দেওয়ার জন্য তার আদালতের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। ফৌজদারি দ-বিধি আইনের ৫৬১ক ধারা অনুসারে তার ওপর দেওয়া ক্ষমতাবলে তিনি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাগুলোর ওপরও স্থগিতাদেশ প্রদান করছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপিল বিভাগও এ ধরনের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করছেন না।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সুবিচারের দ্বার এখন ক্রমশ উন্মুক্ত হতে চলেছে। বিচারপতি খাদেমুল ইসলামের আরেকটি বেঞ্চ নাইকো, গ্যাটকো এবং বার্জ মাউন্টেড পাওয়ার প্ল্যান্টের মামলার সকল কার্যাবলীর ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
এসব কাজে একমাত্র প্রয়োেজনীয় উপাদান হলো বিচারপতিদের সৎসাহস ও ঐকান্তিকতা। বিচারপতিরাও এখন ক্রমশ বুঝতে পারছেন যে, এ সরকার খুব বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না।
আজ প্রধান বিচারপতি দেখা করতে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির সাথে। আইনজীবীরা সন্দেহ করছেন যে, জামিনের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের প্রদেয় অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের ওপর কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে যে নমনীয় মনোভাব প্রদর্শন করছেন রাষ্ট্রপতির সাথে বৈঠকের সময় তাকে বোধহয় এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হবে। আমি আশা করবো যে, প্রধান বিচারপতি তার পূর্বসূরির মতো নিজেকে বিকিয়ে দেবেন না এবং তিনি খুব সম্ভবত সৌজন্য সাক্ষাৎ হিসেবেই রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করতে গিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০০৮ দিন ৪৬২অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা কামাল এই বলে পদত্যাগ করেছেন যে, তার পক্ষে আত্মমর্যাদা বজায় রেখে সুষ্ঠুভাবে কর্তব্য সম্পাদন করা সম্ভব হচ্ছিল না।
বিভ্রান্তিকর তথাকথিত সংলাপের তোড়জোড় স্তিমিত হয়ে এসেছে, তবে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া হয়েছে আরো জোরদার। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরেকটি চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজম ও সাজেদা চৌধুরীর নামে নতুন মামলা দায়ের করেছে। আরেকজন আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। জামিন পাওয়া সত্ত্বেও যুবদল নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য আলালকে এখনো কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। বিএনপির ছাত্রনেতা ও বরিশালের বি এম কলেজ ইউনিয়নের সহ-সভাপতিকে কারাগারের ভেতরে হত্যা করে তাকে ‘ক্রসফায়ার’ বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি চাকলাদার জরুরি আইনের নিষেধাজ্ঞামূলক বিধানগুলোর তোয়াক্কা না করে সংবিধানে উল্লেখিত জনগণের অধিকার সমুন্নত রাখার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০০৮ দিন ৪৬৩বেগম জিয়ার সাথে দেনদরবারের ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি ঘটায় তার দ্বিতীয় ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে কারাগার থেকে রাষ্ট্রপতির এক নির্বাহী আদেশে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে শেখ হাসিনার মতো অনুরূপ শর্তে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আজ কোকো যাত্রা করবেন ব্যাংককের উদ্দেশে।
শনিবার ১৯ জুলাই ২০০৮ দিন ৪৬৪এখন আমি ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র’ Bangladesh: A Study of the Democratic Regimes বইটির টাইপ করা পাণ্ডুলিপি সংশোধনে মনোনিবেশ করতে পারছি। সাথে সাথে আমি অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারের ওপর আরেকটি বই লেখার জন্য তথ্যসামগ্রী জোগাড় করতে শুরু করেছি। কারণ আমি জানি যে, অজানা একটি ভবিষ্যৎ অবধি আমাকে জেলে থাকতে হতে পারে এবং এ সরকার সহসা আমাকে বাইরে যেতে দেবে না। প্রয়োজন হলে এরা আমার বিরুদ্ধে আরো মিথ্যা মামলা দায়ের করবে। জামিন পাওয়ামাত্র নতুন মিথ্যা মামলা দায়ের করেই ওরা আমাকে আটকে রাখবে কারাগারে।
ভারতে চিকিৎসা শেষে আমার ব্যক্তিগত সহকারী শহীদ ফিরে এসেছে। তাকে দেখতে কিছুটা ভালো লাগছে। কিন্তু যৌথবাহিনীর নির্যাতনে যে যন্ত্রণা তাকে পেতে হয়েছে সে ক্ষত থেকে সেরে উঠতে এখনো তার সুদীর্ঘ সময় লেগে যাবে।
আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নের লোকজন আমার আশু মুক্তির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত করেছে। আমাকে জানানো হয়েছে যে, বয়স্ক নারী ও পুরুষেরা আমার সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণের জন্য অব্যাহতভাবে রোজা রাখছেন। গরীব লোকজন বিশেষ করে মহিলারা সারা জীবন আমাকে সর্বোচ্চ সমর্থন দিয়েছেন। এ এলাকার লোকজন আমাকে সংসদে নির্বাচিত করেছেন পাঁচবার।
রবিবার ২০ জুলাই ২০০৮ দিন ৪৬৫এখন চলছে বর্ষার ভরা যৌবন। অব্যাহতভাবে চলছে বৃষ্টিপাত। পূর্বদিকের জানালা দিয়ে তাই অনেকদিন ধরে আমি সূর্যোদয় প্রত্যক্ষ করতে পারিনি।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিল্লুর রহমান পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, তার দল জরুরি আইনের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না। এর আগে পৌরসভা নির্বাচনের সময়ও তিনি একই কথা বলেছিলেন এবং নির্বাচনকে ‘তামাসা’, ‘জোক’ ইত্যাদি বলে অভিহিত করে শেষে আবার জরুরি আইনের আধীনেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। কাজেই এখন জিল্লুর রহমান যা বলছেন তা সত্য নাও হতে পারে। পিছু হটে আসা আওয়ামী লীগ রাজনীতির একটি অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত।
বিচারপতি চাকলাদার জামিন দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন এবং আপিল বিভাগ এখন পর্যন্ত তাতে কোনো হস্তক্ষেপ করছেন না। বিএনপির নাসিরুদ্দিন পিন্টু ও এম. এ. হাশেম, আওয়ামী লীগের লোটাস কামাল, তোফায়েল আহমেদ ও সাজেদা চৌধুরী সবাই জামিন পেয়েছেন। প্রত্যেকদিন এই বিচারক একই ধরনের শত শত মামলার নিষ্পত্তি করছেন।
(চলবে..)