× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সংবাদ সম্মেলনে ছেলেদের অভিযোগ / বাবাকে খুন করে আমাদেরকেও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা

বাংলারজমিন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
২০ জুন ২০২১, রবিবার

তেঁতুলিয়া উপজেলা খাদ্য গুদামের নিরাপত্তা কর্মী চাঁনমিয়া (৫৬) খুনের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিুর দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল বিকালে পঞ্চগড় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে চাঁন মিয়ার দুই ছেলে আসলাম উদ্দিন ও আবু বক্কর সিদ্দিক এ দাবি জানিয়ে বলেন, খুনি সন্ত্রাসীরা স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সন্ত্রাসীরা আমাদেরকেও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এতে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে কাটছে দিনরাত। আসলাম উদ্দিন বলেন, আসামি আবুল খায়ের ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা করে আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তার সঙ্গে আমার চাচা মালেক ও তার ছেলেরাও অংশ নেয়। ভাড়াটে সন্ত্রাসী লিটন ও আমার চাচাতো ভাই রহমান বাবার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
আমার বাবার মতো আমাদেরকেও তারা হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমরা আসামিদের ফাঁসি দাবি করছি। তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি আবু ছায়েম মিয়া বলেন, ওই ঘটনায় আমরা এরমধ্যে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরের তেলিপাড়া এলাকার আবুল খায়েরের সঙ্গে কানকাটা এলাকার নিহত চাঁন মিয়ার ৭০ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ জের ধরে খায়ের তার লোকজন নিয়ে একাধিকবার চাঁনমিয়া ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। গত ১৪ই জুন বিকালে খায়ের, তার ভাই কামরুল, চাচাতো ভাই লিটন, চাঁনমিয়ার ভাই আবদুল মালেক, মালেকের দুই ছেলে রহমান ও আলী, খায়েরের স্বজন সোহেব, রফিকুল ইসলাম, জব্বার, জুলহাস ও মানিকসহ আরও ৮-১০ জন লোক নিয়ে চাঁনমিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। চাঁনমিয়াকে মৃত ভেবে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারের লোকজন চাঁনমিয়াকে প্রথমে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল এবং শেষে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ই জুন বিকালে মারা যান চাঁনমিয়া। ১৯শে জুন তেঁতুলিয়া মডেল থানায় আবুল খায়েরসহ ১১ জনকে আসামি করে মামলা করে চাঁনমিয়ার বড় ছেলে আসলাম উদ্দিন। এ ঘটনায় শুক্রবার আবদুল জব্বার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর