× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

২৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে রেমিট্যান্স

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(২ বছর আগে) জুন ২১, ২০২১, সোমবার, ৮:১১ অপরাহ্ন

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক ২৫ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্সের তথ্যে দেখা গেছে, চলতি জুন মাসের ১৭ দিনেই (১ থেকে ১৭ জুন) ১২৪ কোটি ৪৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। আর সব মিলিয়ে ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরের ১১ মাস ১৭ দিনে (২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ১৭ জুন) ২ হাজার ৪০৮ কোটি ১৭ লাখ (২৪.০৮ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

দেশের ইতিহাসে এর আগে এক বছর বা অর্থবছরে এত বেশি রেমিট্যান্স আসেনি। অর্থবছর শেষ হতে আরও ১৩ দিন বাকি। এই ১৩ দিনে যদি ৯২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে, তাহলেই এবার ২৫ বিলিয়ন (২ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসবে।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অর্থবছরের শেষ মাস জুনের ১৭ দিনে যে রেমিট্যান্স এসেছে, বাকি ১৩ দিনে যদি সেই হারে আসে, তাহলে এই ১৩ দিনে আসার কথা ৯৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। সে হিসাবে মাস শেষে মোট রেমিট্যান্সের অঙ্ক দাঁড়াবে ২১৯ কোটি ৬৬ লাখ ডলারে। আর ২০২০-২১ অর্থবছরের মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ গিয়ে ঠেকবে ২৫.০৩ ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাধারণত দুই ঈদের আগে রেমিট্যান্স বেশি আসে। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে কোরবানির ঈদ।
কোরবানির গরু কেনাসহ ঈদের অন্য খরচের জন্য এই মাসের শেষের দিকে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে হিসাবে অনেকটা নিশ্চিত করেই বলা যায়, এবার রেমিট্যান্স ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াচ্ছে।

গত মে মাসে ২১৭ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। যা ছিল এক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এর আগে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা ছিল এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) মোট ২ হাজার ২৮৩ কোটি ৭০ লাখ (২২.৮৩ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি।

এই ১১ মাসে গত অর্থবছরের পুরো সময়ের (১২ মাস, জুলাই-জুন) চেয়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৫.৪৪ শতাংশ। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ (১৮.২০ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা ছিল এক অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স।

রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়াতে গত অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটেও এই প্রণোদনা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

রিজার্ভ

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ভর করে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েই চলেছে। সোমবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৫ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার।

গত ২৮ এপ্রিল অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। তবে গত ৪ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।

এক মাসেরও কম সময়ে ১ জুন তা ফের ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। গত তিন সপ্তাহে তা আরও বেড়ে ৪৫ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

এই অর্থবছরেই অর্থাৎ, জুন মাসের মধ্যেই রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করবে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর