বল হাতে ১ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে ঝলক দেখালেন সাইফ হাসান। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে খেললেন ৬০ রানের ইনিংস। আর শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারালো প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাইফ হাসান। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২৪ রানের টার্গেট দেয় ধানমণ্ডি ক্লাব। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন সাইফ হাসান। তরুণ এই ব্যাটসম্যান একাই দোলেশ্বরের রানের চাকা সচল রাখেন। তার ৩৩ বলে ৬০ রানের মারমুখী ইনিংসে ১৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দোলেশ্বর।
সুপার লীগে এটি দোলেশ্বরের প্রথম জয়।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৬৫ রান যোগ করেন দোলেশ্বরের দুই ওপেনার ইমরান-উজ-জামান ও সাইফ হাসান। ইনিংসের নবম ওভারে সোহরাওয়ার্দী শুভকে উইকেট দেয়ার আগে ২৪ বলে ২০ রান করেন ইমরান। ১১তম ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে সাইফ হাসানকে ফেরান শুভ। আউট হওয়ার আগে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৩৩ বলে ৬০ রান করেন সাইফ। পরে ফজলে রাব্বী ২১ ও মার্শাল আইয়ুব ১২ রান করে দোলেশ্বরকে ৬ উইকেটে জয় এনে দেন। শেখ জামালের পক্ষে দু’টি করে উইকেট নেন সোহরাওয়ার্দী শুভ ও মোহাম্মদ আশরাফুল। এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভার থেকেই ধুঁকতে থাকে শেখ জামাল। আগের দিন প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে জয়ের নায়ক সৈকত আলী কাল বোল্ড হন বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলামের বলে। ৮ বলে ৪ করে শরিফুল্লাহ’র বলে আউট হন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল। তানবীর হায়দারকে মাত্র ১ রানে ফেরান শফিকুল। ৫ ওভার শেষে শেখ জামালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২/৩-এ।
এরপর ইমরুল কায়েসের সঙ্গে লম্বা জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আরাফাত সানি। তবে বেশি দূর এগোতে পারেননি সানি, ১৯ বলে ১০ রান করে সাইফ হাসানের উইকেটে পরিণত হন। ২৮ বলে ২৭ রান করে আউট হন ইমরুল। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাট করা নুরুল হাসান সোহান এদিন করেন ২৪ বলে ৪২ রান। আউট হন ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ হয়ে।
দোলেশ্বরের বল হাতে তিন উইকেট নেন রেজাউর রহমান রাজা। দুই উইকেট পান শফিকুল ইসলাম। ১টি করে উইকেট পান শরিফুল্লাহ, সাইফ হাসান ও কামরুল ইসলাম।