× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বড় পরীক্ষায় কেইন-মদরিচরা

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২২ জুন ২০২১, মঙ্গলবার

‘ডি’ গ্রুপে ফেভারিটদের টপকে এক নম্বরে চেক প্রজাতন্ত্র। পরের দুই স্থানে রয়েছে গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল্টি ইংল্যান্ড ও রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। আজ ‘ডি’ গ্রুপের শেষ লড়াই। দারুণ ছন্দে থাকা চেক প্রজাতন্ত্রের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। ক্রোয়াটদের পরীক্ষাটাও কঠিন। তারা মুখোমুখি হবে স্বাগতিক স্কটল্যান্ডের। যারা আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছ থেকেপয়েন্ট কেড়ে নিয়ে রয়েছে আত্মবিশ্বাসী। শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় ইংল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্র।
ড্র হলে দু’দলই উঠবে নকআউট পর্বে। তখন স্কটিশদের হারালেও সরাসরি শেষ আটে খেলা হবে না ক্রোয়েশিয়ার। অপেক্ষায় থাকতে হবে ছয় গ্রুপের তৃতীয় হওয়া সেরা চার দলের একটি হয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার। চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে জিতলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে উঠবে ইংল্যান্ড। তখন সুযোগ তৈরি হবে ক্রোয়েশিয়ার। স্কটল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারানোর লক্ষ্য নিয়ে তাই মাঠে নামবে ক্রোয়াটরা। স্কটিশদের হারালে ক্রোয়েশিয়ার পয়েন্ট হবে ৪। সঙ্গে ক্রোয়েশিয়াকে প্রার্থনা করতে হবে বড় ব্যবধানে যেনো হারে চেক প্রজাতন্ত্র। দুই ম্যাচ করে খেলে গোল পার্থক্যে এগিয়ে চেক প্রজাতন্ত্র (+২), ক্রোয়েশিয়া (-১)।
ঘরের মাঠ লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে চেকদের মুখোমুখি হওয়ায় এগিয়ে থাকবে ইংল্যান্ড। তবে জয় পাওয়া সহজ হবে না গ্যারেথ সাউথগেটের দলের। দারুণ ছন্দে রয়েছেন চেক ফরোয়ার্ড প্যাট্রিক শিক। দুই ম্যাচে ৩ গোল নিয়ে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। বিপরীতে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে তারকাখচিত ইংল্যান্ড। দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট পেলেও গোল করেছে মাত্র একটি। ওয়েম্বলিতে স্বাগতিক দর্শকদের সামনে খেলা সহজ হবে না চেকদের। তবে তাদের আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে আগের দুই ম্যাচের ফর্ম। প্যাট্রিক শিক বলেন, ‘চার পয়েন্ট নিয়ে আমরা গ্রুপের শেষ ম্যাচে মাঠে নামব। এটা দারুণ ব্যাপার। আমরা জানি ইংল্যান্ড অনেক এগিয়ে থাকা এবং বড় খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দল। তারা আক্রমণভাগ নিয়ে হয়তো কিছুটা ভুগছে। কিন্তু দল হিসেবে খুবই শক্ত প্রতিপক্ষ তারা।’
২০১৯ সালের অক্টোবরে চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে ২-১ গোলে হেরেছিল ইংল্যান্ড। পরের বছর ওয়েম্বলিতে ৫-০ গোলে জিতে বদলা নেয় সাউথগেটের দল। ইংল্যান্ডকে গত বিশ্বকাপের শেষ চারে নেয়া এই কোচ বেশ চাপে রয়েছেন। ইউরোয় ইংল্যান্ডের পারফরমেন্স নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইয়ে বৃটিশ সংবাদমাধ্যমে। সাউথগেট মনে করেন শেষ দেখায় জিতলেও এই ম্যাচটি হবে ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ৫-০ গোলে জেতা চেকদের ওই দলটার সঙ্গে এখনকার স্কোয়াডে বেশ পার্থক্য রয়েছে। তাদের অনেক ফুটবলারই ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে খেলার যোগ্যতা রাখে। আমাদের দর্শকরা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দেখতে না পেয়ে হতাশ। তবে আমার বিশ্বাস চেকদের বিপক্ষে দর্শকরা আকুণ্ঠ সমর্থন জোগাবেন।’
ক্রোয়েশিয়াকে বড় ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হতে হবে। তবে কাজটা সহজ নয় লুকা মদ্রিচ, ইভান পেরিসিচদের। স্কটিশরা খেলবে ঘরের মাঠ গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্কে। জয় পেলে স্কটল্যান্ডেরও সুযোগ থাকবে তৃতীয় হওয়া সেরা চার দলের একটি হয়ে পরের রাউন্ডে নাম লেখানোর। স্কটিশরা বেশ আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েম্বলিতে ১ পয়েন্ট পেয়ে। ক্রোয়াটদের বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ের রেকর্ডেও এগিয়ে স্কটল্যান্ড। পাঁচবারের দেখায় দুই জয় স্কটিশদের। ড্র তিন ম্যাচে। দু’দল শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৪ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে। সেই ম্যাচে গ্লাসগোতে ২-০ গোলে জিতেছিল স্কটল্যান্ড। মাঝমাঠে দুই অভিজ্ঞ কোভাসিচ ও লুকা মদ্রিচ। আক্রমণভাগে পেরিসিচের মতো তারকাদের নিয়েও ধুঁকছে ক্রোয়েশিয়া। দলটির কোচ জ্লাটকো দালিচের চিন্তা নিজেদেরকে নিয়ে। তাকে ভাবাচ্ছে স্কটল্যান্ডের আত্মবিশ্বাসও। ক্রোয়েশিয়াকে প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলা এই কোচ বলেন, ‘স্কটল্যান্ড গত দুই ম্যাচেই দারুণ খেলেছে। শেষ ম্যাচে তারা খেলবে ঘরের মাঠে, নিজেদের দর্শকদের সামনে। লম্বা সময় পর ইউরোয় সুযোগ পেয়ে তারা জয় দিয়ে সেটা স্মরণীয় করে রাখতে চাইবে। যেটা আমরা ২০১৮ বিশ্বকাপে করেছিলাম। তবে আমরা ক্রমাগত পিছিয়ে পড়েছি। ব্যর্থ হয়েছি বিশ্বকাপের সেই ফর্ম ধরে রাখতে।’ ১৯৯৬ সালের পর প্রথমবার স্কটল্যান্ডকে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে তুলেছেন স্টিভ ক্লার্ক। এই স্কটিশ কোচের ভাবনা ক্রোয়েশিয়ার শক্তিমত্তা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘তাদের মাঝমাঠের দিকে তাকান। কোভাসিচ ও মদ্রিচের মতো বিশ্বমানের দুই ফুটবলার। আমাদের মিডফিল্ডাররা যদি সর্বোচ্চটাও দেয় তবুও মাঠের পারফরমেন্সে তাদের সমান হওয়াটা কঠিন। কিন্তু আপনি যখন বড় দলের বিপক্ষে খেলবেন তখন করতে হবে নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়া পারফরমেন্স।’ শিষ্যদের এভাবেই তাতিয়ে দেন স্কটল্যান্ড কোচ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর