× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৮২ বছরের পুরনো রেকর্ডে ইতালি

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২২ জুন ২০২১, মঙ্গলবার

শেষ ষোলো আগেই নিশ্চিত হওয়ায় একাদশে আট পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ইতালি। তাতেও জয় রবার্তো মানচিনির দলকে আটকাতে পারেনি গ্যারেথ বেল-অ্যারন রামসের ওয়েলস। ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ওয়েলসকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ইতালি। তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে নকআউট পর্বে খেলতে নামবে তারা। মানচিনির কোচিংয়ে যেন অজেয় হয়ে উঠেছে ইতালি। ২০১৮ সালে নেশনস লীগে পর্তুগালের বিপক্ষে হারের পর আর ওই তেতো স্বাদ পায়নি তারা। অপরাজেয় পথচলা বেড়ে দাঁড়ালো ৩০ ম্যাচে। স্পর্শ করল ৮২ বছরের পুরনো নিজেদেরই রেকর্ড।
১৯৩৫ থেকে ১৯৩৯ পর্যন্ত সময়ে ৩০ ম্যাচে অপরাজিত থেকে রেকর্ডটি গড়েছিল তারা। ২০১৮ বিশ্বকাপের টিকিট পেতে ব্যর্থ হওয়ার পরই ইতালির দায়িত্ব নেন মানচিনি। এই অভিজ্ঞ কোচের অধীনে ইতালির বদলে যাওয়ার শুরু। যার অধীনে ইতালি ফিরিয়েছে ৮২ বছর আগের রেকর্ড। আরেকটি দারুণ রেকর্ডের কাছেও পৌঁছে গেছে ইতালি। টানা ১১ ম্যাচে কোনো গোল হজম করেনি তারা। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত টানা ১২ ম্যাচে ‘ক্লিনশিট’ রেখেছিল ইতালি। আগামী সোমবার লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ম্যাচে মাঠে নামবে ১৯৬৪’র ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।
চলমান ইউরোয় প্রথম হারের স্বাদ পাওয়া ওয়েলসও উঠেছে শেষ শেষ ষোলোয়। আগের দুই ম্যাচে এক জয় ও এক ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েছে গত আসরের সেমিফাইনালিস্টরা।
ইতালিকে শেষবার হারের স্বাদ দিয়েছিল পর্তুগাল, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। এরপর খেলা ৩০ ম্যাচের ২৫টিতেই জিতেছে আজ্জুরিরা, ড্র ৫টি। ওয়েলসের বিপক্ষে ইতালির জয়ের নায়ক মাত্তেও পেসিসনাও গড়েছেন গর্বের এক রেকর্ড। এবারের ইউরোতে তার খেলারই কথা ছিল না। রবার্তো মানচিনির প্রথম ঘোষিত দলে ছিলেন না তিনি, পরে মিডফিল্ডার স্তেফানো সেন্সির চোটে ডাক পড়ে ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলারের। আর তৃতীয় ম্যাচে এসে শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়ে দারুণভাবে কাজে লাগালেন তিনি। মেজর টুর্নামেন্টে শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়ে সবচেয়ে কম বয়সী ইতালিয়ান হিসেবে গোল করলেন মাত্তেও। ২০০৪ ইউরোয় ২৪ বছর বয়সে গোল করেছিলেন ইতালির আন্তোনিও কাসানো।
ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় ওয়েলস। জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড বার্নারদেস্কিকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন তরুণ ওয়েলশ মিডফিল্ডার ইথান এম্পাডু। ইউরোয় লাল কার্ড দেখা ফুটবলারদের মধ্যে দ্বিতীয় বয়োকনিষ্ঠ খেলোয়াড় তিনি। ইতালির বিপক্ষে লাল কার্ড দেখার দিন এম্পান্ডুর বয়স ছিল ২০ বছর ২৭৯ দিন। মহাদেশীয় এই আসরে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে লাল কার্ড দেখার রেকর্ডটা নেদারল্যান্ডসের জন হাইতিঙ্গার। ২০০৪ ইউরোয় চেকপ্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখেছিলেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর