অভিষেক আসরেই নকআউট পর্বের টিকিট প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছিল ফিনল্যান্ড। তবে সোনালী প্রজন্মের বেলজিয়াম তা হতে দেয়নি। ফিনিশদের জমাট রক্ষণ ভেদ করে সাত মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল আদায় করে নেয় বেলজিয়াম। ২-০ ব্যবধানে জিতে ‘বি’ গ্রুপের সেরা হয়ে শেষ ষোলোয় রবার্তো মার্টিনেজের দল। তাদের সঙ্গী হয়েছে ডেনমার্ক। গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষে বেলজিয়ামের পয়েন্ট ৯। ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও রাশিয়ার পয়েন্ট সমান ৩ করে, তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে দুইয়ে ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের দল ডেনমার্ক। তৃতীয় হওয়া ফিনল্যান্ডের আশা এখন ছয় গ্রুপের তৃতীয় স্থান পাওয়া দলগুলোর সেরা চারটির একটি হয়ে পরের ধাপে যাওয়ার।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার আগে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ৫৩ বছর ধরে অপরাজেয় ছিল ফিনল্যান্ড।
শেষ সাত ম্যাচের ৪টিতেই জিতেছিল তারা। ড্র তিনটি। শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করতে ১ পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল ফিনিশদের। রক্ষণাত্মক ফুটবলে বেলজিয়ামকে আটকেই দিয়েছিল তারা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল বেলজিয়াম লিড নেয় ফিনিশদের ভুলেই। ৭৪তম মিনিটে ডি ব্রুইনার কর্নারে টমাস ভারমালেনের হেড ঠেকানোর চেষ্টা করেননি গোলরক্ষক লুকাস, বল পোস্টের ওপরের দিকে লেগে ফেরার পথে তার হাতে লেগে গোললাইন পেরিয়ে যায়। ইউরো ইতিহাসে দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে আত্মঘাতী গোলের রেকর্ড গড়লেন ফিনিশ গোলরক্ষক। চলমান আসরে প্রথম রেকর্ড গড়েন পোল্যান্ডের গোলরক্ষক ভয়চেখ সেজনি, স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে।
৮১তম মিনিট ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ফিনল্যান্ড। ডি ব্রুইনার পাস পেয়ে আসরে নিজের তৃতীয় গোলটি করেন ইন্টার মিলান তারকা রোমেলু লুকাকু। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বে প্রথমবার সবগুলো ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়লো বেলজিয়াম। আর মেজর টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয়বার এমন কৃতিত্ব দেখাল তারা। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্বে শতভাগ জয়ের রেকর্ড নিয়ে পরের রাউন্ডে নাম লেখায় বেলজিকরা।