একের পর এক ছত্রাকের হানা বাড়াচ্ছে চিন্তা। কালো, সাদা, হলুদের পর এবার থাবা বসালো গ্রিন ফাঙ্গাস। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির দেহে থাবা বসিয়েছিল সবুজ ছত্রাক। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরের ৩৪ বছর বয়সী একজন ব্যক্তির শরীরে এই সংক্রমণটি প্রথম ধরা পড়ে। তিনি করোনার সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর, এই গ্রিন ফাঙ্গাস (অ্যাস্পারগিলোসিস) দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন। এবার পঞ্জাবেও 'গ্রিন ফাঙ্গাস'-এ আক্রান্ত হয়েছেন এক ব্যক্তি। গ্রিন ফাঙ্গাস সংক্রমণের ফলে মারাত্মকভাবে ওজন হ্রাস এবং দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। যদিও করোনা সংক্রমণ থেকে পুনরুদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে, গ্রিন ফাঙ্গাস সংক্রমণের প্রকৃতি অন্যান্য রোগীদের চেয়ে আলাদা কিনা, তা এখনও গবেষণাধীন।
গ্রিন ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হলে যে যে উপসর্গগুলি দেখা দেয়- প্রচন্ড জ্বর, ঘা হওয়া, ঘ্রাণশক্তি হ্রাস, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, কাশি, নাক থেকে পানি পড়া, মাথা-যন্ত্রনা, হাড়ের সমস্যা, ওজন হ্রাস, বুকে ব্যথা, প্রস্রাব কম হওয়া এবং প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হওয়া, প্রভৃতি। আমাদের শরীরে বাতাসের মাধ্যমে এই ছত্রাকের ক্ষুদ্রকণা রোজ প্রবেশ করে। শ্বাসক্রিয়া চলার সময় এই ছত্রাক আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যে সকল ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী, তাদের ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর নয়। তবে দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের, তাদের এটি ফুসফুস বা সাইনাসে সংক্রমণ ছড়াতে পারে, যা পরবর্তী সময়ে শরীরের অন্যান্য অংশগুলিকেও প্রভাবিত করতে পারে। যাদের হাঁপানি এবং সিওপিডি-এর মতো সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রেও এই ছত্রাক আক্রমণের সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যায়। যদি সংক্রমণটির যথাসময়ে চিকিত্সা না করা হয়, তবে সংক্রমিত ব্যক্তির নিউমোনিয়া পর্যন্ত হতে পারে। গ্রিন ফাঙ্গাস সংক্রামক নয় এবং এটি একজনের থেকে অন্যদের মধ্যে ছড়ায় না। চিকিত্সকদের মতে, ভাল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মৌখিক ও শারীরিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে এই ছত্রাকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যেতে পারে।