× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বড়লেখায় স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূর আত্মহত্যা

বাংলারজমিন

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২৩ জুন ২০২১, বুধবার

 মৌলভীবাজারের বড়লেখায় স্বামীর নির্যাতনে কীটনাশক পান করে সুমা রানী দাস (২১) নামে এক গৃহবধূ মারা গেছেন। নিহত গৃহবধূর স্বজনরা তার স্বামী মোহন দে’র বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন। গত সোমবার তিরি মারা যান। এর আগের দিন গত রোববার সকালে সুমা স্বামীর বাড়িতে কীটনাশক পান করেন।
নিহত গৃহবধূর স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে বড়লেখা পৌরসভার তেলিগুল গ্রামের মহানন্দ দের ছেলে মোহন দের সঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়া নয়াগাঁও গ্রামের গণেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে সুমা রানী দাসের বিয়ে হয়। পরিবারে তাদের এক সন্তান রয়েছে। গত রোববার সকালে সুমা স্বামীর বাড়িতে কীটনাশক পান করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
সেখান থেকে তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। গত সোমবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে সুমা মারা যান। পরে স্বজনরা তার লাশ বড়লেখা থানায় নিয়ে যান। সেখানে সুরতহাল শেষে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহত সুমার মামা অতুল দাস মুঠোফোনে বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে আমার ভাগ্নিকে তার স্বামী প্রায়ই নির্যাতন করতেন। মোহন মাদকাসক্ত ছিল। এই বিষয় নিয়ে অনেকবার পারিবারিকভাবে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু তিনি (সুমার স্বামী) শোধরাননি। গত রোববার সুমার শ্বশুরবাড়ির আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি সুমা বিষ পান করেছে। এর আগে সকালে তার স্বামী তাকে নির্যাতন করেছে। এরপরই সে (সুমা) বিষ পান করে।’  
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, লাশের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর