নিজ পুত্রবধূর দায়ের করা মামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের ৯০ বছরের বৃদ্ধ আবদুল লতিফ। এ ব্যাপারে গতকাল কুলাউড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিকার চেয়েছেন ওই বৃদ্ধ। এ সময় ৩ পুত্র আব্দুল জলিল, আব্দুল হান্নান ও আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল লতিফ বলেন, ভরণপোষণ তো দূরের কথা উল্টো পুত্রবধূর দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় ফেরারি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনিসহ আরও ৩ পুত্র। এ নিয়ে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে একাধিক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয়েছেন সালিশকারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বৃদ্ধ আব্দুল লতিফ আরও জানান, ৩৬ শতক সম্পত্তি ৪ ছেলেকে সমানভাগে বণ্টন করে দেন আবদুল লতিফ। কিন্তু তার বড় ছেলে বিজিবিতে কর্মরত মো. আব্দুল মোতালেব গত ৬ই মার্চ এবং ২১শে মার্চ বাড়িতে ছুটিতে এসে তার স্ত্রী ছালেমা বেগমকে নিয়ে ৩য় ছেলে মো. আব্দুল হান্নানের বসতঘর সংলগ্ন কিছু জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এ ঘটনায় টিলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নিকট আমার ছেলে লিখিত অভিযোগ করেন। গত ১২ই মার্চ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসেন।
বিষয়টি বানচাল করতে সুবেদার মো. আব্দুল মোতালেব ও তার স্ত্রী ছালেমা বেগম বাড়িতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। গত ৩রা এপ্রিল কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায়ের নির্দেশে বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে নিষ্পত্তির চেষ্টা করেন। কিন্তু সুবেদার মো. আব্দুল মোতালেব নিষ্পত্তিকালে বাড়িতে না আসায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হচ্ছে না। বৃদ্ধ আব্দুল লতিফ আরও অভিযোগ করেন গত ১৯শে জুন বিকালে পুত্রবধূ ছালেমা বেগম তাকে মারপিট করেন। তার ছেলেরা তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। গত সোমবার এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি আরও জানান, ছেলের এসব অপকর্মের ব্যাপারে গত ৫ই মে এবং ৪ঠা এপ্রিল বিজিবির মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায় জানান, উভয়পক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।