× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে দেয়া চিঠি নিয়ে আপত্তি তিন ক্লাবের!

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৩ জুন ২০২১, বুধবার

  •  ‘স্বাক্ষরিত চিঠির সঙ্গে মোহামেডান ক্লাবের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং স্বাক্ষরিত ব্যক্তির এখতিয়ারও নেই এ বিষয়ের চিঠিতে স্বাক্ষর করার।’ -প্রিন্স
  •  ‘নির্বাচনের পর কাউন্সিলের এই রকম কাজের এখতিয়ার আছে কিনা এই বিষয়ে আলোচনা করবো।’ -তুহিন
  •  ‘ক্লাবের এই সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাক্ষরের এখতিয়ার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের। ওই চিঠির সঙ্গে ওয়ারী ক্লাবের সম্পর্ক নেই।’ -মিরাজ
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফের প্রতি অনাস্থা এনে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের কাছে চিঠি দিয়েছে সাত ক্লাব। দু’দিন যেতে না যেতেই মন্ত্রীর কাছে দেয়া সেই চিঠি নিয়ে আপত্তি তুলেছে তিন ক্লাব। দুই ক্লাব এখন মন্তব্য করতে চাইছে না।
ঢাকা প্রিমিয়ার হকি লীগ সর্বশেষ হয়েছিল ২০১৮ সালে। ২০১৯ সালে লীগ হয়নি। গত বছর করোনায় লীগ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। স্বাভাবিক সময়ই হকি লীগ হয় না, করোনায় হবে- সেটা দুরাশা। তাই করোনার মধ্যে অন্য সব খেলা মাঠে ফিরলেও ঘরোয়া হকি রয়েছে বাক্সবন্দিই।
জাতীয় দলের খেলাও নেই দীর্ঘদিন। জুনিয়র এশিয়া কাপ হকির দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে তা মাঠে গড়াচ্ছে না করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে। করোনায় মাঠের হকিতে স্থবিরতা নেমে এলেও বসে নেই ফেডারেশন কর্মকর্তারা। তারা মাঠের খেলায় মনোযোগ না দিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে। চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি। ২০১৯ সালের এপ্রিলে হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে আব্দুস সাদেককে হারিয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মমিনুল হক সাঈদ। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ক্যাসিনো-কাণ্ডের পর থেকে তিনি দেশ ছাড়া। এরপর থেকেই ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ ইউসুফ। প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের টাকা দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক যখন লীগ শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক তখনই তার প্রতি অনাস্থা এনে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের কাছে চিঠি দেয় সাত ক্লাব। একই উদ্দেশে হকি ফেডারেশনের সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছেন হকি খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। যদিও মন্ত্রীর কাছে দেয়া ৭ ক্লাবের স্বাক্ষরিত চিঠিতে ধরা পড়েছে অনেক আপত্তি। এরই মধ্যে চিঠি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া ও ওয়ারী। অ্যাজাক্স ও আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব চিঠিতে স্বাক্ষর করলেও এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাইছে না। মোহামেডানের পক্ষে চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন আবু সাঈদ শাহীন। যিনি আগের মেয়াদে হকি কমিটির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমান কমিটিতে নেই। মোহামেডানের নতুন পরিচালনা পর্ষদ এই চিঠিতে বিব্রত। চিঠি প্রসঙ্গে ক্লাবের পরিচালক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স বলেন, ‘স্বাক্ষরিত চিঠির সঙ্গে মোহামেডান ক্লাবের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং স্বাক্ষরিত ব্যক্তির এখতিয়ারও নেই এ বিষয়ের চিঠিতে স্বাক্ষর করার। আমাদের ফুটবল ও ক্রিকেট কমিটি হলেও হকিতে এখনো কমিটি হয়নি। সভাপতি মহোদয় নিজে হকি খেলোয়াড় ছিলেন, তিনি হকির বিষয়টি দেখভাল করছেন।’ ওয়ারী ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিদুর রহমান মিরাজ বলেন, ‘ক্লাবের এই সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাক্ষরের এখতিয়ার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের। ওই চিঠির সঙ্গে ওয়ারী ক্লাবের সম্পর্ক নেই। আমরা খেলতে চাই, খেলার জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছি যা ইতিমধ্যে ফেডারেশনকে আমরা জানিয়েছি।’ তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘ওয়ারী ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন। ফলে আমাদের কমিটি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। যে ব্যক্তি আমাদের ক্লাবের হয়ে স্বাক্ষর করেছেন তার ব্যাপারে আমরা ডিসিপ্লিনারি পদক্ষেপ নিতে পারি।’ ওয়ারীর মতো একই অবস্থান দেশের আরেক শীর্ষ ক্লাব ভিক্টোরিয়ার। ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘আমরাও খেলতে চাই। কমিটি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে আমরা ভাবছি না। খেলা চলুক, অনেক হকি খেলোয়াড় কষ্টে আছে। খেলা না হলে তাদের আয় থাকবে না।’ চিঠিতে ক্লাবের হয়ে স্বাক্ষর করেছেন গত হকি নির্বাচনে ভিক্টোরিয়ার কাউন্সিলর সারওয়ার হোসেন। কাউন্সিলর হলেও তিনি ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে সেভাবে সম্পৃক্ত নন। তার চিঠিতে স্বাক্ষর প্রসঙ্গে তুহিন বলেন, ‘নির্বাচনের পর কাউন্সিলের এই রকম কাজের এখতিয়ার আছে কিনা এই বিষয়ে আলোচনা করবো।’ সাত ক্লাবের মধ্যে রয়েছে ঢাকা আবাহনী ও বাংলাদেশ স্পোর্টিং। এই দুই ক্লাবের হয়ে স্বাক্ষর করেছেন যথাক্রমে জাকী আহমেদ রিপন ও হাজী মো. হুমায়ুন। তারা আবার বর্তমান নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ। যদিও কমিটিতে থেকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের প্রতি অনাস্থার বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কমিটির এই দুই কর্মকর্তার আচরণে বিব্রত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোষাধ্যক্ষ একবার সভাপতি ও আমার অনুমতি ছাড়াই অর্থ উত্তোলন করে খরচ করেছেন। এই বিষয়টি পরবর্তীতে তিনি ভুল স্বীকার করে চিঠি দেয়ায় মেনে নেয়া হয়েছে। এখন আবার কেন এই কাজ করলেন বুঝলাম না।’ খেলা বাদ দিয়ে সাত ক্লাবের পক্ষে চিঠি দেয়াটাকে ভালো চোখে দেখছে না মেরিনার ইয়াংস ক্লাব। হকির উদ্ভূত অস্থিরতা নিরসন চেয়ে ক্লাবটির কর্মকর্তা বদরুল ইসলাম দিপু বলেন, ‘আমরা খেলার জন্য প্রস্তুত। একটি কুচক্রী মহল খেলার চেয়ে কমিটিকে প্রাধান্য দিয়ে নানা কাজ করে খেলাকে বাধা দিচ্ছে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর