× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘পৌর আদালত শক্তিশালী করতে আইন সংস্কার প্রয়োজন’

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ জুন ২০২১, বুধবার

পৌর আদালত শক্তিশালী করতে আইন সংস্কার প্রয়োজন। বিরোধ মীমাংসা (পৌর এলাকা) বোর্ড আইন-২০০৪ সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। যেখানে গ্রাম আদালতে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষতিপূরণ ৭২ হাজার টাকা ধরা আছে, সেখানে পৌরসভা আইনে ক্ষতিপূরণ সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য আইন হতে পারে না বলে দাবি করেছেন পৌর মেয়ররা। মঙ্গলবার বিরোধ মীমাংসা সংক্রান্ত (পৌর এলাকা) বোর্ড আইন-২০০৪ সংস্কার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে এক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে এ দাবি জানান তারা। এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে মাদারীপুর লিগ্যাল এইড এসোসিয়েশন (এমএলএএ), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নাগরিক উদ্যোগ এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফরম, বাংলাদেশ।
এ সময় বক্তারা বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে সালিশ ব্যবস্থার পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রাম আদালত এবং পৌরসভা পর্যায়ে বিরোধ মীমাংসা (পৌর এলাকা) বোর্ড আইন-২০০৪ বিদ্যমান। পৌর মেয়র, কাউন্সিলর ও পৌর কর্মকর্তারা নাগরিক সেবার পাশাপাশি  অনানুষ্ঠানিকভাবে বিরোধ নিষ্পত্তিতে প্রতিনিয়ত ভূমিকা রাখছে। কিন্তু পৌর বোর্ডের আর্থিক এখতিয়ার খুবই সীমাবদ্ধ থাকায় পৌরসভা সমূহ আইনের আওতায় বিরোধ নিষ্পত্তিতে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছে না।
সরকারি ও বেসরকারি নানা উদ্যোগের কারণে গ্রাম আদালত আইনটির একাধিক সংশোধন হলেও পৌর বোর্ড আইনটি মূলত: অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  মিউনিসিপ্যাল এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ম্যাব) ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, বিরোধ মীমাংসা পৌর আইনে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ ২৫ হাজার টাকা। আর গ্রাম আদালত আইনে ক্ষতিপূরণ ৭২ হাজার টাকা। যেটা পৌর শহরের মূল্যায়ন হয় না। এই সংস্কার জরুরি। না হয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে। তবে তিনি আইন সংস্কারে কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
ম্যাবের মহাসচিব ও মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ বলেন, পৌরসভাকে শক্তিশালী করতে হলে পৌর আদালত সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসা আইন সংশোধন করতে হবে। কেননা, বিদ্যমান দুর্বলতা রেখে সামনে এগুনো সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, আইন মোতাবেক পৌরসভায় সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) নিয়োগের বিধান রয়েছে। পৌর মেয়রদের অধীনস্থ এসব কর্মকর্তার সার্ভিস বুক কর্তৃত্ব আবার মেয়রদের হাতে থাকছে না। এটা হলে তো পৌর সংস্থাগুলো শক্তিশালী হবে না।  
লাকসাম পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের বলেন, গ্রাম আদালত আইনের নীতিমালা রয়েছে, কিন্তু পৌর আইন যেটা রয়েছে সেটা দুঃখজনক। অথচ গ্রামের তুলনায় শহরের জনসংখ্যা অনেক বেশি। মানুষের আয়ও বেশি। তাহলে কেন গ্রাম আদালতের চেয়ে বিরোধ মীমাংসা পৌর আইনের ক্ষতিপূরণ কম। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হলে পৌর আদালতকে কাঠামোর দুর্বলতাগুলোও দূর করতে হবে। এ আইনটিকে কার্যকরভাবে ব্যবহারের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ওয়েবিনারের আলোচনায় অংশ নেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট আইনুন নাহার সিদ্দিকী ও নরসিংদী পৌরসভার প্যানেল মেয়র ইয়াছমিন সুলতানা প্রমুখ। এ ওয়েবিনার পরিচালনা করেন নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী জাকির হোসেন,  পৌর এলাকার বিরোধ মীমাংসা (পৌর এলাকা) বোর্ড আইন, ২০০৪ এর সীমাবদ্ধতা ও সুপারিশ নিয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপনা করেন মাদারীপুর লিগ্যাল এইড এসোসিয়েশনের (এমএলএএ) প্রধান সমন্বয়ক মো. শহিদ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর