× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অস্পষ্টতা- / ইলিশ রপ্তানি বন্ধ না সচল?

অনলাইন

মিজানুর রহমান
(২ বছর আগে) জুন ২৩, ২০২১, বুধবার, ১১:৫৯ অপরাহ্ন

ইলিশ রপ্তানি বন্ধ না সচল- তা নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। বিতর্কে রসদ যুক্ত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট। ‘দিল্লি থেকে টিকা না পেয়ে বাংলাদেশ ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে’ মর্মে রিপোর্ট করেছে কলকাতার প্রতিষ্ঠিত দৈনিক আনন্দবাজার। খবরটি বেশ চাউর হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবারের সংবাদ ব্রিফিংয়ে অভিযোগটির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ঢাকার এক সাংবাদিক। জবাবে মন্ত্রী এক বাক্যে তা নাকচ করেন। বলেন, ‘আমরা এতোটা নিচু মানসিকতার নই’। মন্ত্রী রিপোর্টের বিস্তারিত শুনলেও কথা বাড়াননি। ফলে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ কিনা? সংবাদ ব্রিফিংয়ে তা খোলাসা হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তারাও যে খুব স্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছেন তা কিন্তু নয়। এক কর্মকর্তা রাতে মানবজমিনকে টেলিফোনে বলেন, ‘না, ইলিশ রপ্তানি বন্ধ- ঠিক তা নয়। আবার এটা খোলা বা সচল সেটাও বলা যাবে না। ইলিশ কখনোই নিয়মিত রপ্তানি পণ্য নয়। আন্তর্জাতিক মার্কেট বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে এর চাহিদা এবং বাংলাদেশের সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় মাঝেমধ্যে এটি রপ্তানি করা হয়। রপ্তানির সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব এবং কার্যকারণ বিবেচনায় ফাইল ওঠে, অনুমোদন হয় এবং সে অনুযায়ী  রপ্তানি হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওই ফাইল প্রসেস করে থাকে।’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রেকর্ড বলছে, ২০১২ সালের ১লা আগস্ট ঘোষণা দিয়ে একবারই ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বিশেষ অনুমোদনে পরবর্তীতেও রপ্তানি হয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ইলিশ-চোরাচালান নিয়ে বেশ কথা হয়।  তখন চোরাইপথে ইলিশ পাচার ঠেকাতে রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজতর করার তাগিদ অনুভব করে ঢাকা। ২০২০ সালে মহামারি করোনায় যখন দুনিয়া কাবু তখনও ভারতে ১৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির তথ্য নিশ্চিত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের বর্তমান এবং সদ্য সাবেক কর্মকর্তারাও প্রায় অভিন্ন মন্তব্য করেন। বলেন, ইলিশ কখনোই রপ্তানির নিয়মিত পণ্য নয়, এটা সিজনাল। ফলে এর রপ্তানির বিশেষ প্রক্রিয়া রয়েছে। সেটা বিবেচনায় নিয়ে যদি কেউ বলে রপ্তানি বন্ধ, তাহলে বন্ধ। অন্যথায় রপ্তানিতে কোনো বাধা নেই বরং ফাইল তখনই প্রসেস হয় যখন রপ্তানির যৌক্তিকতা প্রবল থাকে।’ জানা যায়, ইলিশ রপ্তানির ফাইল উঠেছে কিন্তু প্রত্যাখ্যাত হয়েছে এমন ঘটনা নেই বলেও দাবি করেন এক কর্মকর্তা। বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ অবশ্য ইলিশ রপ্তানি বন্ধ বলেই দাবি করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর