× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৮৩) / ‘রিমান্ডে ওবায়দুল কাদেরকে নির্দয়ভাবে প্রহার করে’

বই থেকে নেয়া

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ জুন ২০২১, বুধবার

মঙ্গলবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৮ দিন ৫২৩
গত কয়েকদিন ধরে পেটে ব্যথা অনুভব করছি। জেলখানার ডাক্তার এটাকে খুব গুরুত্ব দেননি। কয়েকটা ওষুধ দিয়েছেন, কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।
আজ প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। জরুরিভিত্তিতে আমাকে নেওয়া হয়েছে পিজি হাসপাতালে। আমাকে পরীক্ষা করেছেন প্রফেসর রায়হান। উনি তাৎক্ষণিকভাবে ধারণা করেছেন যে, এ হলো অ্যাডভান্সড অ্যাপেনডিসাইটিস, আমার মতো বয়সের একজনের জন্য যা অস্বাভাবিক এবং বিপদজনক, টেস্ট রেজাল্টগুলো দেখে সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর সিরাজুল করিম তাৎক্ষণিকভাবে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কারণ অবস্থা পৌঁছে গেছে গুরুতর পর্যায়ে।
আমি মুক্ত একজন রোগী নই। কাজেই হাসপাতালে ভর্তির জন্য বহু ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সারতে হলো। জেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি, কেবিনের প্রাপ্যতা, বাদবাকি ব্লাড টেস্ট ইত্যাদি সারতে জেলখানায় আটক একজনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ লেগে যাওয়ার কথা।
অথচ সবার সহযোগিতায় ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে সব রকমের আনুষ্ঠানিকতাই সম্পন্ন হয়ে গেল। জীবনে প্রথমবারের মতো আমি রোজা ভাঙতে বাধ্য হলাম। এমনকি সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনার জন্য আমাকে সেলে ফিরে যেতে দেওয়া হলো এবং জোগাড় করা হলো আরো একটা প্রিজন ভ্যান। অনেকটা অলৌকিকভাবেই জীবন বাঁচানোর জন্য আমি আল্লাহ্ তা’আলার রহমত পেলাম।
সন্ধ্যার পরে বেড়ে গেল ব্যথার প্রচণ্ডতা। তারপর আমার আর কিছু মনে নেই, আমি জ্ঞান হারিয়েছিলাম। পরদিন জ্ঞান ফিরে আসায় বুঝতে পারলাম আমি আমার সেই কেবিনে আর নেই। আমি ছিলাম নিবিড় পরিচর্যা বিভাগের (আইসিইউ) একটি কেবিনে, অপারেশন রুমের ঠিক পাশে। পেটে হাত দিয়ে ব্যান্ডেজের পুরো স্তর অনুভব করে আমি বুঝলাম যে, আমার অপারেশন ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। যারা অপারেশন করেছেন তারাসহ একটা বিরাট ডাক্তারের টিম আমাকে পর্যবেক্ষণে এলেন। আমাকে জানানো হলো যে, অ্যাপেনডিসাইটিসটি ফোঁড়ার আকারে বেশ বড় হয়ে গিয়েছিল, ফলে নির্গত রসের প্রবাহ মারাত্মক পরিস্থিতি বয়ে আনতে পারতো। পূর্ণভাবে অজ্ঞান করে এই রোজার মাসে রাত একটায় অপারেশন করা হয়েছে। সচরাচর এ ধরনের অস্ত্রোপচারে আধঘণ্টা লাগে, তবে আমার ক্ষেত্রে সময় লেগেছে এর তিন গুণেরও বেশি। আল্লাহর দয়ায় সবকিছু সম্পন্ন হয়েছে নির্বিঘ্নে।

বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ দিন ৫২৪
সারাদিন আমি ছিলাম ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। প্রফেসর সিরাজুল করিম ও তার সহকর্মীরা আমার সবিশেষ যত্ন নিয়েছেন। আমার উন্নতি দেখে তারাও সন্তুষ্ট।

বৃহস্পতিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮ দিন ৫২৫
আমাকে সরিয়ে আনা হয়েছে ৩২৫নং কেবিনে। নাফিসা, খুবি ও অন্যরা আমার দারুণ সেবাযত্ন করছে।

শুক্রবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ দিন ৫২৬
আমি পুলিশ প্রহরাধীনে আছি কেবিনে। এটি পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলের সম্প্রসারিত একটি অংশ। ডাক্তারদের পরামর্শে আমাকে বাইরের খাবার খেতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কাজেই নাস্তাসহ দুপুরের খাবার পাঠাচ্ছে আমার ভাগ্নি খুবি। সে কাছাকাছিই থাকে। রাতের খাবার আসে আমাদের গুলশানের বাসা থেকে। হাসনা নাই, আমান নাই, আনা নাই।

শনিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৮ দিন ৫২৭
প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন ঘোষণা করেছেন, ১৮ই ডিসেম্বর সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর বাকি আছে মাত্র তিন মাস। আমি আর রোজা রাখছি না আপাতত।

রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ দিন ৫২৮
অপারেশনের পর প্রথমবারের মতো গোসল ও শেভ করেছি। নিজেকে অনেকটা সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন বলে মনে হচ্ছে। লোকজন আসছে দেখা করতে, তবে তাদের ঘরের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমি তাদের সাথে হেঁটে বাইরে করিডোরে গিয়ে কথা বলি। ডাক্তাররা দিনে কয়েকবার আসছেন। নতুন করে কোনো ড্রেসিং দেওয়া হয়নি এখনো।

সোমবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৮ দিন ৫২৯
সকালে ডাক্তারদের দলবল নিয়ে প্রফেসর সিরাজুল করিম এসেছিলেন। তিনি সবসময়ই আমাকে ব্যাপক উৎসাহ দেন। মুখে সদাপ্রসন্ন হাসি, আশাবাদী অভিব্যক্তি তার চেহারায়। যে কেন রোগী তার ব্যবহারে মুগ্ধ হবে।
আমার দুই নাতনি নাস্তা নিয়ে আমার ঘরে ঢুকতে পারেনি। সায়েদাবাদের হুজুরকেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তার দোয়া নিতে আমাকে বের হয়ে আসতে হয়েছে। আমার অন্যান্য আত্মীয়স্বজনকেও আসতে দেওয়া হয়নি। গার্ডগুলো অত্যন্ত লোভী। অতিথিদের কাছ থেকে তারা অনবরত টাকা দাবি করে, অথচ কোনো অংকেই তারা সন্তুষ্ট নয়। তারা বলে বাবর ও নাজমুল হুদা প্রতিদিন ইফতারের জন্য তাদের ১০০০ টাকা করে দিচ্ছেন, অথচ আমি কিছুই দিচ্ছি না ওদের। তারা বোঝে না যে, ওদের মতো অত টাকা-পয়সা আমার নেই।
শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিম জামিনে মুক্তি পেয়ে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে বের হয়েছেন।

মঙ্গলবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮ দিন ৫৩০
আজ কেবিনের বাইরে পুলিশ প্রহরীরা আরো বেশি অপমান করেছে, আলো ও সুমি-এই দুই তরুণী নাতনির সাথে আক্ষরিক অর্থেই তারা দুর্ব্যবহার করেছে। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও বাইরে থেকে আমার খাবার কেবিনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমাকে জানানো হয়েছে যে, ওপর মহল থেকে এ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গার্ডরা ওদের অপমান করে প্রায় এক ঘণ্টা বাইরে বসিয়ে রাখে ও পরে মোটা অংকের ‘পারিতোষিক’-এর বিনিময়ে খাবার নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেয়। প্রহরীদের সাথে কথা বলে কোনো লাভ নেই। অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করার ট্রেনিং তাদের দেওয়া হয়নি। আমি গুরুতর অসুস্থ একজন রোগী। তারপরও আগামীতে আরো নাজেহাল হওয়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য আমি আলো ও সুমিকে হয়তো আর এখানে আসতে বারণ করে দেবো। ওরা আসে ওদের অন্তর থেকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে। তাহলে অশিক্ষিত এসব গার্ডদের দুর্ব্যবহার কেন তারা সইতে যাবে? হয়তো গার্ডদের শেখানোই হয়েছে কারো প্রতি যেন সম্মান না দেখানো হয়।
সকালে ও বিকালে ডাক্তাররা এসেছিলেন। বিকেলে সকল সহকর্মীকে নিয়ে এসেছিলেন ডা. জামিল। এছাড়া এসেছিলেন ডা. রোমেল, ডা. অসীম ও ডা. আলী রেজা। গতকাল আমার ভাই শাকেরের মেয়ে ডা. সোনিয়া, পিজি হাসপাতালে ট্রেনিংপ্রাপ্ত, এখন বারডেম-এর সাথে সংযুক্ত, আমার সাথে যখন দেখা করতে আসে তাকে নানা ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে, রীতিমতো অপমান করার মতো। আমি ডা. সোনিয়া ও ডা. হেলালকে বলে দিয়েছি বিশেষ প্রয়োজন না থাকলে ওরা যেন আর না আসে। আমি চাই না আমার জন্য আমার আত্মীয়স্বজনেরা নাজেহাল হোক।

বুধবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ দিন ৫৩১
সকালে চিফ সার্জন প্রফেসর সৈয়দ সিরাজুল করিম তার টিম নিয়ে এসেছিলেন। তিনি সেলাই কেটে নিজ হাতে ড্রেসিং করে দিয়েছেন।
আমার দুই পা আবার ফুলে গেছে। প্রফেসর আব্দুল্লাহ তার টিমসহ এসে নতুন কিছু ওষুধের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে গেছেন।
আমার চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছেছে, কিন্তু এর সমন্বয়কারী ড. জামিল রাত দশটা পর্যন্ত আসেননি। ফলে আমি একটি দিন হারিয়েছি। কিন্তু আশা করছি যে, আগামীকাল মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হবে যা কার্যকর করার জন্য অনতিবিলম্বে পত্র পাঠানো হবে প্রফেসর সিরাজুল করিমের কাছে। তিনি আবার ছুটিতে চলে যাচ্ছেন। তাই কালক্ষেপণ করা যাবে না।
দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসক জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম, যিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান, কাছের একটি কেবিন থেকে আমাকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার বয়স এখন ৮০ বছর।
রাতে ব্যারিস্টার খোকন এসেছিল। তারেকের সবকিছু ঠিক আছে কি না দেখতে বেগম জিয়া কাল তাকে লন্ডন পাঠাচ্ছেন। তারেকের জন্য তার মা তাকে কিছু টাকাও দিয়েছেন খোকনের সাথে।

বৃহস্পতিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮ দিন ৫৩২
হাসপাতাল কেবিনের ভগ্নদশা নিয়ে নালিশ জানিয়ে কোনো লাভ হবে না। জেনারেল ওয়ার্ডে যেখানে সাধারণ রোগীরা রয়েছেন, সেখানকার দুরবস্থা বলাই বাহুল্য। এ কেবিনে কোনো কলবেল নেই। কাজেই কাউকে ডাকতে পারি না আমি। জরুরি অবস্থায়ও কোনো ডাক্তার ও নার্সকে খবর দিতে পারি না। গরম পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। শেভিংয়ের জন্য এক মগ গরম পানি পেতে প্রায় ৪৫ মিনিট লেগে যায়। বাথরুম ও টয়লেট নোংরা ও দুর্গন্ধময়। এদের সবকিছু আছে, শুধু নেই ব্যবস্থাপনা- যা অবশ্য বাংলাদেশের যে কোনো গণপ্রতিষ্ঠানের চিরাচরিত দশ্য।
প্রফেসর সিরাজুল করিম এবার ৮ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছেন। শনিবার তারা বসবেন। প্রফেসর করিম নিজে উদ্যোগ নেওয়াতেই এটা সম্ভব হয়েছে। সকল ডাক্তারের স্বাক্ষর ছাড়া মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা যায় না। তারা সবাই অত্যন্ত ব্যস্ত। ডা. জামিল, ডা. সুমন ও ডা. হেলাল একের পর এক সকলের কাছে ছুটোছুটি করে তাদের স্বাক্ষর নিয়ে একদিনে সম্ভব করেছেন। ১৯৮৩ সালের পর এই আমি আবার বন্দি হিসেবে হাসপাতালে দিন কাটাচ্ছি।
১৯৫০ সালে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে আমি পুরনো ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি হই। সে সময় সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত  থেকে অলৌকিকভাবে আমি রক্ষা পেয়েছিলাম। ১৯৫৬ সালে মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নাসের সুয়েজ খাল জাতীয়করণেল পর মিশরের ওপর ইঙ্গ-ফরাসি বিমান হামলার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভে অংশ নিতে গিয়ে ঢাকার তোপখানা রোডে পুলিশের প্রহারে আহত হয়ে কয়েক মাস আমি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছিলাম। ১৯৬৫ সালে ঐ পুলিশি আক্রমণের ফলে লন্ডনের এক হাসপাতালে আমার ডান কাঁধে সার্জারি করা হয়। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে শাহবাগ রোডে মাঝরাতে এক পার্টি থেকে ড্রাইভ করে ফেরার পথে এক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। পরে একই কারণে মেরুদ- সংকোচনের জন্য আমাকে কোলকাতা যেতে হয়েছিল চিকিৎসার জন্য। ১৯৮৩ সালে এরশাদের শাসনামলে বন্দি হিসেবে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলাম কয়েক মাস। ১৯৮৫ সালের প্রথমার্ধে ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত নোয়াখালীর চরে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ গিয়ে ফেরার পথে বেগম জিয়াসহ একই জিপে রাত তিনটায় কুমিল্লার কাছে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার পর আহত অবস্থায় হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে কয়েক সপ্তাহ থাকি। ১৯৮৮ সালের ২রা সেপ্টেম্বর দৃষ্টিশক্তি বাঁচাতে গিয়ে আমার পিটুইটারি টিউমার অপসারণের জন্য লন্ডনের কুইন স্কোয়ারের ন্যাশনাল হাসপাতালে অপারেশন করা হয়। সে সময় আমি ছিলাম প্রধানমন্ত্রী।

শুক্রবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৮ দিন ৫৩৩
রিমান্ডে থাকাকালীন আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতা ওবায়দুল কাদেরকে নির্দয়ভাবে যৌথবাহিনীর সদস্যরা প্রহার করে। এখনো তিনি সেরে ওঠেননি। কাছের একটি কেবিন থেকে হুইলচেয়ারে করে তিনি আমাকে দেখতে এসেছিলেন। কারণ চিকিৎসার জন্য কাল তাকে দিল্লি যেতে হচ্ছে। জামিনে মুক্ত হলেও চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে থাকতে হচ্ছিল।
বিকেলে তার সৌজন্যের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য আমিও তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সবরকম আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা সত্ত্বেও এবং জামিনে থাকার পরেও এয়ারপোর্ট থেকে তাকে প্লেনে উঠতে দেওয়া হয়নি। একই দিনে দুর্নীতি দমন বিভাগ আটজন সাবেক মন্ত্রীসহ বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত কয়লা খনি প্রজেক্ট মামলায় চার্জশিট দিয়েছে। এ ধরনের উদ্ভট সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রাজনীতিবিদগণের নিগৃহীত করার প্রক্রিয়া চলাকালে দেশে কীভাবে ১৮ই ডিসেম্বর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে? এসব তৎপরতার ফলে নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু একটি পরিবেশ কিছুতেই গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

(চলবে..)
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর