× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এই আইনের গেরোয় কখনই পা দেবেন না

রকমারি

সেবন্তী ভট্টাচার্য্য
৩০ জুন ২০২১, বুধবার

নিজের জন্মদিন চাইলে ভুলতে পারেন, কিন্তু বউয়ের জন্মদিন ভুলবেন! সে সাধ্য কিন্তু হবে না আপনার, যদি আপনি সামোয়া নামক দেশটিতে থাকেন। সেখানেই আছে এমন আইন। যেখানে বউয়ের জন্মদিন ভুলে যাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ! আর সেই অপরাধে আদালতে গিয়ে জরিমানা দিতে হবে এবং সেই জরিমানার অঙ্ক আপনার স্ত্রীর হাতে চলে যাবে। আর যদি আপনার স্ত্রী নিজে চান, তাহলে তিনি নিজেই অভিযোগ জানাতে পারেন।
ব্রিটেনের মতো আধুনিক দেশে রয়েছে এমন এক আইন, যা আপনাকে অবাক করে দেবে। সেখানে আপনি মারা গেলেও শাস্তি হতে পারে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। অবাক হবেন না, এই আইন কিন্তু বাস্তবেই রয়েছে ব্রিটেনে।
লন্ডনের হাউস অফ পার্লামেন্টে মৃত্যু হওয়াটা আইনত বেআইনি। হাউস অফ পার্লামেন্টে যদি আপনার মৃত্যু হয়, তাহলে মারা যাওয়ার পরও পাঁচ বছরের জেল হতে পারে আপনার। কিন্তু মৃত্যুর পর শাস্তিটা কোথায় হয়? কারা দেয়? এসব প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট হয়নি। সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন? দয়া করে সঙ্গে চুইংগাম নিয়ে যাবেন না। যদি একান্তই গাম চিবোতেই হয়, তাহলে সঙ্গে রাখতে পারেন কেবলমাত্র মেডিক্যাল গাম। তা ছাড়া অন্য কোনও ধরনের চুইংগাম চিবানোর দায়ে আপনার ১০০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে! দ্বিতীয় বার ভুল করলে জরিমানার অঙ্ক দ্বিগুণ হয়ে যাবে অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ২০০০ ডলার! শুধু তাই নয়, বিরাট ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি আপনাকে গোটা একদিনের জন্য পুরো শহরের একটি রাস্তা পরিষ্কার করতে হবে।
শরীরে ট্যাটু আঁকাটা বেআইনি জাপানে। তাই বেশিরভাগ জাপানিরা ট্যাটু করেন না নিজের শরীরে। কেউ যদি বা ভুল করে করিয়েও ফেলেন, তাহলেও সেটা ঢেকে রাখতে হয়। কারণ আইন বলছে, মা-বাবার দেওয়া শরীরে ট্যাটুর কারিকুরি করা মানে তাঁদের অসম্মান করা। সেই ১৮০০ সাল থেকেই জাপানে চালু রয়েছে এই নিয়ম।
চীনেই রয়েছে অদ্ভূত এক আইন। কী তা? আপনি যদি কাউকে দেখেন, সে নদী বা লেকে ডুবে যাচ্ছে, তাহলেও আপনি সেই মানুষটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে পারবেন না। আইন প্রণেতাদের মতে, যে মানুষটি ডুবে যাচ্ছেন, সেটাই তাঁর নিয়তি। আইন করে সব দেশই নিজেদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে চায়, সুরক্ষা দিতে চায় দেশবাসীকে। আসলে সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার জন্য ও মানুষের জীবন আরও স্বস্তিদায়ক করার উদ্দেশ্যেই সব দেশে আইন প্রণয়ন করা হয়। এটা স্বাভাবিক। এর মধ্যে হয়ত খারাপ কিছুই নেই, কিন্তু এমন কিছু আইন রয়েছে, যা শুনে বিস্মিত হওয়া ছাড়া উপায় নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর