× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আজ তোমাকে সত্যটা বলছি...

সেরা চিঠি


১ জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার

প্রিয় বাবা,
তোমাকে ছাড়া চারটি রজনী কাটালাম! এই ছিয়ানব্বই ঘণ্টা না দেখে মনে হচ্ছে, ১০০ বছর তোমাকে দেখি না। তোমাকে ডেকে ডেকে না পেয়ে, আজ আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে বাধ্য হলাম। তুমি ছাড়া এ জীবন শূন্য মরুভূমির বালুকারাশির মতো তৃষ্ণিত বুকে হাহাকার কষ্টে হয় দহন। দরজাটা খুলেই ধোঁকা খেয়ে শূন্যজ্ঞানের চৈতন্য আসে। শূন্য ঘরের পণ্য হয়ে ঘড়ি, চশমা, মোবাইল ও তোমার প্রিয় শাল চাদর পড়ে আছে অপলক নিষ্প্রাণ। জানো বাবা, তোমার কবুতর বাক-বাকুম রবে খুঁজে ফেরে সারা বারান্দাজুড়ে। সমৃদ্ধি, স্বচ্ছ ও সাথী ওদের খেতে দিলেও তোমাকে একটি বার দেখতে চত্বরপানে তাকিয়ে থাকে অনিমেষ। তোমার নাতি শুভ, যার নাম তুমি রেখে দিয়েছিলে, তোমার জন্য পটুয়াখালী থেকে আনা ফতুয়া হাতে নিয়ে নিশীথ গোপনে কাঁদে।
তোমার মনে আছে কী বাবা, প্রথম যেদিন থ্রি-ব্যান্ড রেডিও কিনে ঘরে বসে গোপনে প্রথম আমাকে শেখালে চালানোর কৌশল! আর বলেছিলে, আমি যেন দাদা আর দিদিকে না বলি।
আজকে তোমাকে সত্যটা বলছি, ঘর থেকে বের হয়ে দাদা আর দিদিকে আমিই আগে শিখেছি সে কথা বলে দিয়েছিলাম। আজকে রাগ করবে না নিশ্চয়ই, পাগল ছেলে বলে হাসবে! বাবা জানো, তোমার মানিক তাজা মুখ দেখতে না পেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে এসে মুষলধারে অশ্রুপাত করেছে! আর দাদার কথা তো জানোই, গোপনে কেঁদে সবাইকে সান্ত¡না দেয়া তার স্বভাব।
সমৃদ্ধি বলে, তুমি স্টার হয়ে গেছো! আর সেই সুরেই বলি, তোমার চাঁদ-তারাদের নিয়ে তুমি না ফেরার দেশে অনেক ভালো থেকো এবং আমাদের জন্য নিরন্তর আশীর্বাদ করো।

ইতি
তোমার কনিষ্ঠ
-বর্ণ।

লেখক: সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, ডুয়েট স্কুল, ডুয়েট ক্যাম্পাস, গাজীপুর।

 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর