শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০০৮ দিন ৫৮২আজ আমি জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জেল কোড ভাঙার একটি নোটিশ পেয়ে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে গেছি। জেল কোড ভাঙার অভিযোগ তুলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অথচ আমি কীভাবে জেল কোড ভেঙেছি সে ব্যাপারে নোটিশে কিছুই জানানো হয়নি। নোটিশে বলা হয়েছে আমার জবাব সন্তোষজনক না হলে আমাকে যথাবিধ শাস্তি দেওয়া হবে। আমি বুঝতে পারছি যে, নাসিরুদ্দিন পিন্টুর সাথে একজন ডেপুটি জেলারের মারামারি হয়েছিল ও নাজমুল হুদা কয়েকজন প্রিজন গার্ডের উদ্দেশে কিছু কটুবাক্য ব্যবহার করেছিলেন। এর ফলে হয়তো হাসপাতালে অবস্থানরত আমাদের সকলের ওপর ঢালাওভাবে এ নোটিশ জারি করা হয়েছে।
বেলা দুটোর সময় আমাদের জানানো হলো যে, বাইরে থেকে খাবার আনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং হাসপাতাল যা দেবে আমাদের তাই খেতে হবে। বাসা থেকে যে খাবার এসেছিল ইতিমধ্যেই সেগুলো ফেরত পাঠানো হয়েছে, অথচ হাসপাতালের খাবার প্রায়ই থাকে অখাদ্য, ঠাণ্ডা ও বাসি। ফলে আজ আর আমার দুপুরে খাওয়া হয়নি।
রাতের বেলায়ও হলো একই অবস্থা।
শনিবার ১৫ নভেম্বর ২০০৮ দিন ৫৮৩নির্যাতন ও স্বৈরাচারিতার এখানেই শেষ হলো না। আমার দরজার বাইরের দিকে নতুন তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যভাবে বলা যায়, আমি এখন ছোট্ট একটি প্রকোষ্ঠে বন্দী। কোনো কিছুই আমার ধরাছোঁয়ার মধ্যে নেই। আমার ওষুধ খেতে পারছি না। ল’ ক্লার্ক ফরিদের কাছে আমার ফাইলপত্রও পাঠাতে পারছি না।
পুরোপুরিভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে আমাকে। ডাক্তার আমাকে ওয়ার্কিং থেরাপি দেওয়ার যে ব্যবস্থা করেছিলেন তাও বন্ধ। কি অমানবিক আচরণ! অসভ্যতা ও নির্যাতনের ওপর আমার প্রতিদিন নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে। দুয়েক জনের দুষ্কর্মের কারণে সকলকে সাজা ভোগ করতে হচ্ছে। আমাদের মতো সকলের খাবার, ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঠিক যেন এ এক নাজী যুগ। জন্তু-জানোয়ারের সাথে কেউ এমন আচরণ করে না। আমি অনেক ধরনের সরকার দেখেছি। কিন্তু এ ধরনের জঘন্য একটা সরকার কখনো দেখিনি।
রবিবার ১৬ নভেম্বর ২০০৮ দিন ৫৮৫কাজেই আপাতত চিকিৎসা বন্ধ। আজ আমাকে থেরাপিতে যাবার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। মাখন, খাওয়ার পানি, রুটি, পেঁপে, হাঁটার ব্যয়াম, ময়লা কাপড় ধোয়া এবং বাইরে থেকে যেকোনো ধরনের খাবার আনা সব বন্ধ। একটি নাজী ক্যাম্পে বন্দী রয়েছি আমি। ঘরের ভেতরে আমি কেবল ছয় কদম হাঁটতে পারি। এই বন্ধ অবস্থায় আর কোনো গত্যন্তর নেই বলে ঘরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছয়বার করে ৫০০ কদম হেঁটে আমি বেপরোয়াভাবেই আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সচল রাখতে বাধ্য হচ্ছি। সকালে যে হাসাপাতাল ক্লিনার আসে সে যথাসম্ভব সাহায্য করেছে। সকালে নাস্তা নিয়ে আসা বুয়া সাকিনা তার শাড়ির আঁচলের নিচে লুকিয়ে আমার মামলার খসড়া আবেদন নিচে অপেক্ষারত রিয়াদ ও সনির কাছে নিয়ে গেছে। চূড়ান্ত করার জন্য ওরা সেগুলো পৌঁছে দেবে ব্যারিস্টার খোকনের কাছে। ঠিক এভাবেই আমার হাসপাতাল-জেলের সময়গুলো কাটছে। বাইরের জগতের সাথে যোগাযোগের জন্য সাকিনা হলো এখন আমার একমাত্র গোপন বার্তাবাহক।
আমাদের অবস্থা নিয়ে এতসব সমালোচনার পরেও আজ সমস্ত সংবাদপত্রে সরকার বলেছে যে, আমাদের মধ্যে কেউ কেউ বাইরের সাথে যোগাযোগের জন্য গোপনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। অথচ আমি কখনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করিনি এবং আমার কোনো মোবাইল ফোন নেইও। এমনকি একবার খোকন আমার পাশে বসে হাসপাতাল থেকে যখন বাইরে হাসনার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল, আমি নিজে তার সাথে কথা বলার ইচ্ছা সংবরণ করে রেখেছিলাম।
প্রফেসর সিরাজউদ্দিন সকালে এসে আমার কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত তার সুপারিশ করে গেছেন। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি, কারণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা মানতে রাজি হননি। কোনো মিনারেল ওয়াটারের ব্যবস্থা নেই, কাজেই আমাকে ব্যাকটেরিয়াপূর্ণ ট্যাপের পানি পান করতে হচ্ছে।
সোমবার ১৭ নভেম্বর ২০০৮ দিন ৫৮৫মতিঝিল ফৌজদারি মামলা ও কর ফাঁকির মামলা উভয় ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের ফুল কোর্ট সরকারের আপিলে সাড়া দেয়নি এবং সে কারণে মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে আমার জামিন মঞ্জুর হয়েছে। একজন মুক্ত নাগরিক হিসেবে জেল হাসপাতাল থেকে বের হতে গেলে এখন আমাকে আর দুটি মামলায় জামিন পেতে হবে। ক্লিনার মর্জিনার মাধ্যমে ছোট্ট একটা চিরকুটে আপিল বিভাগের এই সিদ্ধান্ত আমাকে জানিয়েছে খোকন। তিনজন ক্লিনার- বুয়া সকিনা, মর্জিনা ও বেলী এখন আমার চিরকুট, চিঠি ও কাগজপত্র লেনদেনের গোপন বাহক হিসেবে কাজ করছে। বাইরের গার্ডরা এ ব্যাপারে ঘুণাক্ষরেও কিছু জানতে পারছে না। আমি এখনো তালাবন্দী এবং হাসপাতালের খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছি। এই বাজে খাবার নেওয়ার ফলে হাসপাতালে আসার পর এই প্রথমবারের মতো আজ আমার পেটে খুব খারাপ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
আমি শুনে মর্মাহত হয়েছি যে, হাসপাতালের নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও ট্রেজারার তিনজনেই আওয়ামী লীগ পন্থী এবং তারা ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন যাতে করে তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া যায়। নতুন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সিরাজউদ্দিনকে ডেকে পাঠিয়ে ডিসচার্জ অর্ডার ইস্যু করতে বলেছেন যাতে আমি আর হাসপাতালে থাকতে না পারি। এখন আমি এসব রক্ষকের নীচু মানের নিষ্ঠুর আচরণে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এ এক ধরনের দুঃখবাদী মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ। আমরা কষ্ট পেলে তাদের মধ্যে এক ধরনের আনন্দাভূতি সৃষ্টি হয়!
২০শে নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ। অথচ বিএনপির এ নিয়ে কোনো প্রস্তুতি নেই। বেগম খালেদা জিয়া এখনো নিজেকে ভোটার তালিকাভুক্তই করেননি। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ না পাল্টালে বোঝা যাবে যে, বিএনপি ও চারদলীয় জোট এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ফলে এ নির্বাচন হবে অর্থহীন, একপক্ষীয় এবং জাতির ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ।
মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর ২০০৮ দিন ৫৮৬বাইরে থেকে তালাবন্ধ ঘরে আমি আটক রয়েছি আজ চারদিন হলো। জানি না আমি কী ধরনের একজন কারাবন্দী। আমি কি জেলখানায় বন্দী, নাকি গৃহবন্দী, না কক্ষবন্দী? এখানকার অবস্থা সেন্ট্রাল জেলের তুলনায় একশত গুণ খারাপ। প্রায় দমবন্ধকারী অবস্থা। ডাক্তার নেই, কোনো ওষুধ কিনতে পারি না। ময়লা কাপড়চোপড় জমে উঠেছে পাহাড় সমান। আমার নিজেকেই থালাবাসন পরিষ্কার করতে হচ্ছে, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কোনো কিছু কেনার অধিকারও আমার নেই। সাপ্তাহিক দর্শনার্থীদের এখানে আসা বারণ। ডাক্তারের সুপারিশ অনুযায়ী বাসা থেকে কোনোরকম খাবার আনার উপায় নেই। আমি এখন নতুন এক ধরনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে চলেছি।
আমাদের দেশে গরীব লোকেরাই সচরাচর আইনের শিকার হন। তারাই সব চাইতে বেশি ভুক্তভোগী। নিজেদের কুকর্ম ঢাকতে গিয়ে জেলের উচ্চস্তরের কর্মকর্তারা বিভিন্ন অজুহাতে ২৬ জন প্রিজন গার্ডকে সাজা দিয়েছেন। অপরাধ করেন উচ্চতর কর্মকর্তারা অথচ তার খেসারত দিয়ে সাজা পান অধঃস্তনরা। দেশে এখন এ ধরনের আইনেরই রাজত্ব চলছে। যাদের প্রচুর টাকাপয়সা আছে, আইন ও সুবিচার কেবল তাদের জন্যই কাজ করে। তারাই অর্থ ব্যয় করে কোর্টে যান ও আইনজীবীর সাহায্য নিতে পারেন। গরীবদের সে সামর্থ্য একেবারেই নেই।
বাকি দুটি মামলার মধ্যে আপিল বিভাগ একটিতে আমাকে জামিন দেয়নি এবং হাইকোর্ট ডিভিশনে ফিরে যেতে বলেছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হলেও সে পরিবর্তন আমার জন্য অনুকূল কোনো পরিবেশ সৃষ্টি করেনি। আমার মামলার ক্ষেত্রে মেডিক্যাল বোর্ডের নতুন রিপোর্ট প্রয়োজন এবং সেজন্য নতুন একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে হবে। এই আমার ভাগ্য!
বুধবার ১৯ নভেম্বর ২০০৮ দিন ৫৮৭আপিল বিভাগ যা করেছে তা শুনে আমার মনে হচ্ছে আমি মরে গেছি। কিন্তু এখনো আমার চেতনা রয়ে গেছে, আমি এখনো চিন্তা করতে পারি, দেখতে ও শুনতে পারি হাসনা-আমান-আনা’কে এবং গোটা পৃথিবীকে নিয়ে ভাবতে পারি। কিন্তু এরপরও আমার মৃত্যু ঘটে গেছে। আমি এখন মৃত এবং জীবনে আর কোনোদিন কারো কোনো কাজে আসবো না। আমার সমস্ত দুঃখবোধ, ব্যথা, যন্ত্রণা এবং নীরব অশ্রুই কেবল আমার মৃত আত্মার একমাত্র সঙ্গী- যা হতে পারে একজন মানুষের জন্য চরমতম শাস্তি। এক অদ্ভুত ধরনের অনুভূতি। সবার জামিন হয়ে গেছে একে একে শুধু আমারটাই বাকি। আমার বিষয়টা যেন অন্য ধরনের। জীবনহীন মৃত্যু শান্তিময়। কিন্তু জীবনময় মৃত্যু চরম যন্ত্রণাময়।
১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত মীর নাসির আজ মুক্তি পেয়েছে। আব্বাস ও ফালু যে কোনো সময়ে বাইরে বের হয়ে যাবার জন্য তৈরি। আমি বোধহয় অন্য যে কারো চাইতে বেশি পাপ করেছি।
বেগম খালেদা জিয়ার দেওয়া চরমপত্রের মেয়াদ আজ শেষ হতে যাচ্ছে। সরকার যদি সবগুলো রাজনৈতিক দলের সাথে সু-আচরণ করে এবং সুষ্ঠু ও অবাধ একটি নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়, তাহলে সামরিকদের জন্য সম্মানজনক প্রস্থান নিশ্চিত করার জন্য এটা হবে তার সুবর্ণ সুযোগ। অবশ্যই ওদের বাস্তবতা অনুধাবন করতে হবে।
আমি এখনো আটকা পড়ে আছি দেশের সবচাইতে বড় সরকারি হাসপাতালের ৩১৫ নম্বর কেবিনে। মর্জিনা, সকিনা ও বেলী নিচে অপেক্ষমাণ রিয়াদ ও সনির মাধ্যমে আমার সাথে সকলের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। জানালা দিয়ে আমি দেখতে পাই, বিল্ডিংয়ের অপর পাশে তারা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। মাঝে-মধ্যে বারান্দায় যাবার সুযোগ পেলে আমরা দেখতে পাই পরস্পরকে। তবে এই প্রচেষ্টা থেকে আমি প্রায়ই নিজেকে বিরত রাখি। আমি চাই না বাইরের খবরদারির জন্য অপেক্ষমাণ এজেন্টদের মনে আমার গতিবিধি নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহ সৃষ্টি হোক।
বৃহস্পতিবার ২০ নভেম্বর ২০০৮ দিন ৫৮৮আমি সবসময় বলে আসছি যে, এ সরকারের উদ্দেশ্যই খারাপ। দেশে শান্তি ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার স্বার্থে সুষ্ঠু একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সদিচ্ছা তাদের ছিল না। তা চাইলে অনেকদিন আগেই তারা ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে পারতো, যা তারা করেনি। পক্ষান্তরে তারা কেবল গত দু’বছরে বাংলাদেশকে দুর্বলতর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্যই কাজ করেছে, যা সুগভীরে প্রোথিত একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রেরই অংশবিশেষ।
বর্তমান অনিশ্চিত অবস্থায় সবচাইতে বেশি লাভবান হবে ভারত। সেটা দেখার মতো দূরদৃষ্টি আওয়ামী লীগ কিংবা আমাদের সুশীল সমাজের একটি অংশের নেই। এ নিয়ে তারা চিন্তাও করে না।
চারদলীয় ঐক্যজোটের দাবিগুলো মোটামুটিভাবে সবকয়টি রাজনৈতিক দলের দাবিরই অনুরূপ। সেগুলো হলো জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, উপজেলা নির্বাচন বাতিল, যেকোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা রহিতকরণ ও কয়েক সপ্তাহের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া। আওয়ামী লীগ প্রথম তিনটি দাবির সাথে একমত হলেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখে কোনো পরিবর্তন আনার দাবির সাথে একমত নয়। অর্থাৎ প্রয়োজনবোধে কেবলমাত্র তারাই নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। অথচ ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারির আগে এদের অবস্থান ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। তারা সে সময় সামরিক বাহিনীর সাথে আঁতাত করে জরুরি আইন ঘোষণায় রাষ্ট্রপতিকে বাধ্য করেছিল এই যুক্তিতে যে, ২০০৭ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছিল কেবলমাত্র বিএনপির অংশগ্রহণের ভিত্তিতে, আওয়ামী লীগের নয়।
আমি আগেই যেমনটা বলেছি, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আর কোনোদিন ভালো অবস্থায় ফিরে যাবার সম্ভাবনা নেই। স্বাভাবিকতা ফিরে আসার সব পথ হয়ে পড়েছে অবরুদ্ধ। এমনকি পাতানো নির্বাচনে গণতান্ত্রিক একটি সরকার ক্ষমতায় ফিরে এলেও ভয় ও শঙ্কামুক্ত একটি পরিবেশ ফিরে আসার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করা যাচ্ছে না, তবে আমি এটুকু বলতে পারি যে, দিনে দিনে আমরা বিপদজনক ও আত্মবিনাশী একটি পথের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।
চলবে...
Sabahat Khan
৭ মার্চ ২০২২, সোমবার, ৪:০৩Hi, How are you doing? Will you be interested in doing a high-quality guest post on your site? It is a 3 step process where: 1. I will send you three amazing topic ideas for a post. 2. You need to choose one out of those. 3. I will then send a high-quality, SEO Friendly article on that chosen topic to get it published on your website with one do-follow link to my site. Let me know if I shall start with step 1? Best, Sabahat Khan