× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে পিঁপড়ার ডিম!

ষোলো আনা

এনায়েতুর রহমান, ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) থেকে
২ জুলাই ২০২১, শুক্রবার

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে পিঁপড়ার ডিম। লাল ডোল পিঁপড়া যা স্থানীয় ভাবে যা (মানজাইল) নামে পরিচিত। বরশী দিয়ে মাছ ধরার টোপ হিসাবে এ পিঁপড়ার ডিম ব্যবহার হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণীর মানুষ অবাধে লাল ডোল পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন। মাছ ধরার মৌসুমে প্রতি কেজি পিঁপড়ার ডিম বিক্রি হয় ছয় হাজার টাকা কেজি ধরে। অবাধে ডিম ধ্বংস করায় ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার লাল ডোল পিঁপড়া আগের মত এখন আর মিলছে না।

কোন ধরনের চাষাবাদ বা পরিচর্চা ছাড়াই লাল ডোল পিঁপড়ার বেড়ে উঠে। লালার সাহায্যে এক প্রকার আঠার সাাহায্যে এরা গাছে বাসা বাঁধে।
এরা দেশীয় প্রজাতির গাছ ছাড়া সাধারনত বাসা বানায় না। আম, জাম, কাঁঠাল, গজারী, সেগুনসহ প্রভৃতি গাছে ৪/৫ টি করে বাসা বাঁধে। প্রতিটি বাসায় ১শ’ গ্রাম থেকে ৫শ’ গ্রাম পর্যন্ত ডিম পাড়ে। চৈত্র, বৈশাখ, জৈষ্ঠ, আষাঢ় মাসে এরা ডিম পাড়ে।

ফুলবাড়ীয়া উপজেলার, এনায়েতপুর, কালাদহ, বাকতা, রাঙামাটিয়া, নাওগাও পাহাড়ী ইউনিয়ন গুলোতে বেশি করে দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, এক সময় লাল ডোল পিঁপড়ার ডিম বেশি করে পাওয়া যেত। এখন অবশ্য কম পাওয়া য়ায়। লাল ডোল পিঁপড়ার ডিম দুই হাজার টাকা কেজি ধরে বিক্রি শুরু হয়। মৌসুমে তা ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত উঠে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডিমগুলো তারা বিক্রি করে থাকেন। সৌখিন মাছ শিকারীরা হচ্ছে এর প্রধান ক্রেতা।

কৃষিবিদ মোতালেক হোসেন জানান, অবাধ নিধন প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর। পিঁপড়া প্রকৃতির সহায়ক। পিঁপড়ার ডিম অবাধ নিধন বন্ধ করা না হলে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে।
ফুলবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ছিদ্দিক জানান, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বিষয়টির প্রতি নজর দেয়া জরুরী। তিনি আরও বলেন, অবাধ নিধন পরিবেশের জন্য যেমন হুমকি তেমনি পিঁপড়ার বংশ বিস্তারে প্রধান বাঁধা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর