পরিসংখ্যান ছিল গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হলে দেখা হবে ফাইনালে। হলোও তাই। নিজ নিজ খেলায় কোয়ার্টার, সেমির বাধা পেরিয়ে এবারে কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। এই মহারণ দেখার অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশ সময় রোববার ভোর ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এই ম্যাচকে ঘিরে সমর্থকরা ভাগ হয়েছে দুইভাগে। ঘটেছে সংর্ঘষের ঘটনাও। টেলিভিশন, খবরের কাগজ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সবখানে কথা একটাই।
খেলা হবে।
ফুটবল প্রীতি আমার ছোটবেলা থেকেই। এখনো সেই প্রেম ছাড়তে পারিনি। টিভির পর্দায় ১৯৯৮’র বিশ্বকাপ থেকে খেলা দেখা শুরু। তখন এলাকার মানুষ ভাগ হয়েছিল দুই দলের সমর্থনে। এতোকিছুর পরেও সবাই একসঙ্গে খেলা দেখেছি। কতো হইহুল্লোর। এরপর থেকে নিয়মিতই খেলা দেখি। আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক। আমার দেখা স্মরণীয় ছিল ২০১৪’র আফ্রিকা বিশ্বকাপ। তখন চলছিল আমার অনার্স তৃতীয় বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষা। এর মধ্যে ছিল রোজা। খেলা শুরু হতো মধ্যরাতে। সারারাত খেলা দেখে না ঘুমিয়ে প্রায় পরীক্ষাগুলোতেই অংশ নিয়েছি। তবে মজার ঘটনা ঘটেছিল ফাইনাল ম্যাচের দিন। সেদিন খেলার শেষ সময়ে গোল হজম করেছিল আর্জেন্টিনা। স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল প্রিয় দলের। সেদিন হৃদয়ে অনেকটা রক্তক্ষরণ হয়েছিল। ভাঙা হৃদয় নিয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তা আর মনে নেই। সেদিন সকাল দশটায় ছিল আমার পরীক্ষা। কিন্তু ঘুম ভাঙে সকাল সাড়ে দশটায়। তড়িঘড়ি করে উঠে গিয়েছিলাম পরীক্ষার হলে।
যাই হোক, আর কয়েক ঘণ্টা পরে কোপার ফাইনালে মুখোমুখি দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। ১৪ বছর পর ফের আসরটির ফাইনালে মুখোমুখি দু’দল। বলা যায়, দীর্ঘদিন পর মেসি-নেইমারদের পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হবে গোটা বিশ্ব। আর আমার সমর্থন থাকবে প্রিয় দল আর্জেন্টিনার প্রতি। তবে ব্রাজিলের জন্যেও রইলো শুভ কামনা।