বাংলাদেশ ফুটবলে ঢের পিছিয়ে। বিশ্বকাপে খেলবে সেই স্বপ্নটাও দেখার সাহস আমরা পাই না। কিন্তু বিশ্বকাপ শুরু হলেই গোটা দেশ বিভক্ত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায়। কিন্তু কেন? এর বাইরেও অনেক নান্দনিক দল রয়েছে। জার্মানী, ইতালি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, স্পেনসহ অনেক দেশ। একটু খোঁজার চেষ্টা কেন এই দুই দলেই আটকে আছি আমরা?
লাতিন আমেরিকার সেরা হবার লড়াই। আর সংঘাতের খবর এলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে। এথেকে প্রমাণ হয় কতোটা ফুটবল পাগল আমরা।
ফুটবল ভক্ত বেশ কজনার মতামত বিশ্লেষণ থেকে উপলব্ধি-
ব্রাজিল সমর্থনের কারণব্রাজিল বরাবরই শক্তিশালী দল। শিরোপার স্বাধ পেয়েছেন তারা সর্বাধিকবার। ভক্তরা কখনোই হতাশ হতে চান না। তেমনি ব্রাজিল ভক্তদের মাথা উঁচু করিয়েছেন পাঁচ-পাঁচ বার। উপহার দিয়েছেন পেলে, রোনালদিনহো, রোনালদো, রবিনহো, কাকা, নেইমারের মতো বিশ্বমানের খেলোয়াড়। এছাড়াও পূর্বে পাঠ্য বইতে ‘কালো মানিক পেলে’ নামে একটি অধ্যায় ছিলো, যা থেকেও ভালোবাসা তৈরি হয়েছে আমাদের মাঝে।
এছাড়াও বাংলাদেশে টেলিভিশন প্রত্যন্ত এলাকায় খুবই স্বল্প পরিমাণে ছড়িয়ে পরে ১৯৮০ সালের দিক থেকে। তবে তা সংখ্যায় খুবই কম। শুধু মাত্র টেলিভিশনে খেলা দেখবার জন্য মানুষ ছুটে যেতেন মাইল পথ। তখন ব্রাজিল তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। সর্বাধিক চ্যাম্পিয়নও বটে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও নান্দনিক ফুটবলের ভক্ত হয়ে ওঠেন তারা। আর বাংলাদেশে পত্রিকার গুরুত্ব বরাবরই ছিলো। বিশ্বসেরাদের খবরটাও ভক্তদের ভালোই সাড়া দিয়েছে।
আর্জেন্টিনা সমর্থনের কারণবর্তমান সময়ের সবথেকে নামী ফুটবলার মেসি। একবাক্যে স্বীকার করতেই হবে। তাকে ভালোই টক্কর দিয়ে চলেছেন পর্তুগীজ তারকা রোনালদো। কিন্তু এই তালিকায় ব্রাজিলের সুপার স্টার নেইমার অনেকটাই পিছিয়ে। শুধু তাই নয় ফুটবলের বরপুত্র ম্যারাডোনার নামটাও উজ্জ্বল হয়ে রবে আজীবন।
বাংলাদেশে যখন টেলিভিশন গ্রামে গ্রামে চলে আসতে থাকে তখন জোয়ার ছিলো ফুটবলের। এই সময়ে ম্যারাডোনা ঝলক দেখেছে বিশ্ব। আর বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পরেছে ম্যারাডোনা দ্যুতি। ১৯৭৮, ১৯৮৬ তে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। পরের বিশ্বকাপ ১৯৯২ সালেই রানার্সআপ। সেসময়ের ফুটবল জোয়ার ও ম্যারাডোনা ম্যাজিকই বাংলাদেশে ভক্ত তৈরি করেছে। আর এরপরই এলো মেসি। মূলত ম্যারাডোনা ম্যাজিক থেকেই আর্জেন্টিনার সমর্থন। আর তা জিইয়ে রেখেছেন মেসি।
আর লাতিন ফুটবলের ভক্ত আমরা। কারণ, ইউরোপীয়ান দেশগুলোতে খেলা হয় টোটাল ফুটবল। কিন্তু লাতিনে হয় তারকা নির্ভর খেলা। আর স্বাভাবতই ব্যক্তি তারকাকেই মানুষ মনে রাখে, ভালোবাসে।