পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১৫ই জুলাই থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এক আসন ফাঁকা রেখে ট্রেন চলবে। প্রতিটি ট্রেনের মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে, সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে। বন্ধ থাকবে কাউন্টার। ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর, ১৯ জোড়া মেইল ও কমিউটার দিয়ে শুরু হচ্ছে ট্রেন যাত্রা। গতকাল সন্ধ্যা থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে বাড়ানো হয়নি ভাড়া। তবে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় মাস্ক পরিধান ছাড়া কাউকেই রেলস্টেশনে ঢুকতে দিবে না বাংলাদেশ রেলওয়ে।
গতকাল বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, অনলাইনেই বিক্রি হবে ট্রেনের টিকিট। তবে নন কম্পিউটারাইজড স্টেশনের টিকিট স্টেশন কাউন্টার থেকে কেনা যাবে। অর্ধেক আসন খালি রেখে চলবে ট্রেন। আসনবিহীন কোনো যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন না।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে আমরা কঠোর অবস্থানে থাকবো। যাত্রীদের মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধির উপর কঠোর নজরদারি থাকবে। জীবাণুনাশক ব্যবহার ও তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থাও জোরদার করা হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করা হবে না।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সরকারের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয় ঈদ উদ্যাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আগামী ১৪ই জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩শে জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত আরোপিত সব বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। তবে ২৩শে জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ই আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।