২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঈদুল আজহায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সিসিক। বরাবরের মতো এবারও কোরবানির পশু বিক্রি ও কোরবানির পশু জবাইয়ে উৎপাদিত বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারণ করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে সিসিক। একথা জানান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এবার বর্জ্য অপসারণ কাজে প্রায় ২ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী নগরজুড়ে কাজ করবে। থাকবে ৩ স্তরে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা জানান সিসিক মেয়র। সিসিকের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দয়া করে কেউ রাস্তাঘাটে কোরবানি দিবেন না এবং ড্রেন, ছড়া বা খালে কোরবানির বর্জ্য ও পশুর চামড়া ফেলবেন না। কোরবানির পশুর চামড়া যত্রতত্র রাখবেন না। যার যার বাসাবাড়িতে পশুর চামড়া রাখবেন।
কোভিড-১৯ মহামারির এই সময় বিবেচনায় কোরবানির বর্জ্য ছড়িয়ে যাতে পরিবেশ বিপর্যস্ত না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডকে ৩টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এসব জোনে বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সিসিকের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, সম্পত্তি কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার রুমা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়। বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দায়িত্ব পালন করবেন সিসিকের পরিচ্চন্ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফুর রহমান। কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কাজে সিসিকের বিভিন্ন স্তরের ৯০টি গাড়ি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হবে। মাঠে কাজ করবেন প্রায় ২ হাজার কর্মী। এছাড়া ২৭টি ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম মনিটরিং করতে ৯ জন মনিটরিং অফিসার মাঠে কাজ করবেন। এদিকে, ঈদে পশু কোরবানির জন্য সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে ৩০টি কোরবানির স্থান রয়েছে। প্রত্যেকটি সেন্টারে কোরবানির সরঞ্জাম যেমন- চাটাই, টুকরি, সাবান, পানি, ব্লিচিং পাউডার ইত্যাদি দেয়া হবে। কোরবানির জন্য ২ জন সহায়তাকারী থাকবেন প্রত্যেকটি কেন্দ্রে।