তিনি এখন সাংসদ নয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তবে, নজিরবিহীনভাবেই তৃণমূলের সাংসদরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংসদীয় দলের চেয়ারপারসন হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ২৬ জুলাই মমতা দিল্লি যাচ্ছেন। তার আগে এই পদক্ষেপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতীয় রাজনীতিতে পদধ্বনির ইঙ্গিতবাহী। তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ, সুখেন্দু শেখার রায় ও ডেরেক ওব্রায়েন অবশ্য বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন সাংসদ নন, কিন্তু তিনি সাতবারের সাংসদ, চারবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। তাই, তার পরামর্শ আর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় দল। সেই কারণে তাকে সংসদীয় দলের চেয়ারপারসন করা হচ্ছে। বলাই বাহুল্য, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুটপ্রিন্ট বাড়ানোর জন্যই তৃনমূলের এই প্রয়াস।
এরই প্রেক্ষিতে মমতা ২৬ জুলাই রাতে দিল্লি যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, ইউপিএ চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন মমতা। কথা হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিয়াল এর সঙ্গেও। বিরোধী নেতাদের একদিন মধ্যাহ্নভোজ অথবা ডিনারে ডাকতে পারেন মমতা। পশ্চিমবঙ্গে বিপুল জয়ের কৃতজ্ঞতা প্রকাশেই এই আমন্ত্রণ। আসল উদেশ্য হবে বিরোধী ঐক্যের সলতে পাকানো।