আফগানিস্তানে আবারও বিমান হামলা জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তালেবান মিলিশিয়াদের অগ্রসর থামাতে আফগান সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতেই এসব হামলা চালানো হয়েছে। আফগান সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জেনারেল আজমল ওমর জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে অন্তত ১৫২৮ তালেবান মিলিশিয়াকে হত্যা করেছে তারা। একইসঙ্গে পুনরায় দখল করে নিয়েছে অন্তত ৩০ জেলা। এ খবর দিয়েছে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদলু।
মঙ্গলবার আফগানিস্তানে এই ব্যাপক বিমান হামলার কথা জানিয়েছে পেন্টাগন। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জন কুইনলান এক ইমেইল বার্তায় আনাদলুর কাছে এই বিমান হামলার কথা স্বীকার করেছে। তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন দিয়ে তালেবান মিলিশিয়াদের ওপর অনেকগুলো হামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে গত রোববার মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড কমান্ডার ফ্রান ম্যাককেঞ্জি জানান, যতদিন আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা রয়েছে তারা আফগান সরকারের সমর্থনে বিমান হামলা চালিয়ে যাবেন।
তালেবান যদি না থামে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সামনের সপ্তাহগুলোতে এই হামলা অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।
সামনের আগস্ট মাসেই সকল মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছেড়ে দিচ্ছে। এরমধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি হতে চলেছে। মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছারতে শুরু করায় আবারও তৎপর হতে শুরু করেছে তালেবান। গত কয়েক মাস ধরে মিলিশিয়া বাহিনীটি দেশজুড়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা বৃদ্ধি করে চলছে। দেশ বাঁচাতে লড়ছে আফগান সেনাবাহিনীও। তবে বিদেশি সেনাদের সাহায্য ছাড়া তালেবানের সামনে সুবিধা করতে পারছিলনা তারা। এমন সময়েই আবারও বিমান হামলা শুরু করলো যুক্তরাষ্ট্র। এতে বিভিন্ন অঞ্চলে বড় সফলতা পেয়েছে আফগান বাহিনী।
আফগান সরকার জানিয়েছে, গত সোমবার তারা উত্তরাঞ্চলীয় একটি প্রধান জেলা উদ্ধার করেছে তালেবানের হাত থেকে। জেনারেল আজমল জানিয়েছেন, বালখ প্রদেশের কালদার থেকে তালেবানদের হটিয়ে দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু স্থানে এখনও আফগান সেনারা প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান নিয়ে রয়েছে। তবে শীগগিরই তারা তালেবানের বিরুদ্ধে আক্রমণ বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে। আফগান বাহিনী সর্বশেষ এক সপ্তাহে ১৫৪টি বিমান ও স্থলপথে হামলা চালিয়েছে। এতে ১৫২৮ তালেবান নিহত ও ৮০১ জন আহত হয়েছে। অপরদিকে তালেবান দাবি করেছে বালখে তারা অন্তত ৬ আফগান সেনাকে হত্যা করেছে।