× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কথিত বাংলাদেশি প্রসঙ্গে মিজোরাম-আসামের মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টাপাল্টি

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
২৯ জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার

আসাম-মিজোরাম সীমান্তে ‘গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি’তে কথিত বাংলাদেশিদের টেনে এনেছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরাম থুউংমা। তিনি অভিযোগ করেছেন, কথিত বাংলাদেশি অভিবাসীরা মিজোরাম সীমান্তে প্রবেশ করেছে আসাম থেকে। তারপর তারা সেখানে বসতি স্থাপনের চেষ্টা করছে। একটি নিউজ চ্যানেলকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেকান হেরাল্ড। ওই টিভি চ্যানেলকে তিনি বলেছেন, আসামে বসবাসকারী (কথিত) বাংলাদেশি অভিবাসীরা আমাদের ভূমি দখল করে তাতে বসতি স্থাপনের চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেছেন, আসাম পুলিশের গুলির প্রতিশোধ নিতে সোমবার মিজোরাম পুলিশ গুলি ছুড়েছে। এতে আসামের ৫ পুলিশ সদস্য নিহত ও ৪২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনা ঘটেছে আসাম-মিজোরাম সীমান্ত এলাকায়।
এই সীমান্ত আসামের কাছার জেলা এবং মিজোরামের কোলাসিব জেলাকে আলাদা করেছে।  জোরাম থুউংমার অভিযোগ সম্পর্কে কয়েক ঘণ্টা পরে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্বশর্মা পাল্টা অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, মিজোরাম থেকে আসা ব্যক্তিদেরকে নিজের সংরক্ষিত বন দখল নেয়া বন্ধ করার চেষ্টা করেছে শুধু আসাম। তার ভাষায়- আমরা বনভূমিতে কোনো মানুষকেই বসতি স্থাপন করতে দিতে পারি না। বন বিষয়ক আইনের অধীনে তা করতে দিতে পারি না আমরা। যদি তারা বলেন, বনের কাছে বসবাসকারীরা বাংলাদেশি, তাহলে যেসব মানুষ বরাক ভ্যালি এবং কাইলাকান্দিতে আছেন তারাও তো বলতে পারেন যে, মিজোরামের দিক থেকে যারা আসছেন তারা মিয়ানমারের। রিপোর্টে বলা হয়, আসামের তিনটি জেলায় বসবাসকারী বাংলাভাষী মুসলিমদেরকে বাংলাদেশি হিসেবে মনে করে থাকে মিজোরামের লোকজন। কিন্তু এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে আসাম। ওদিকে আসাম ও মিজোরামের মুখ্য সচিব ও পুলিশের মহাপরিচালককে ভারতের কেন্দ্রীয় সচিবের সঙ্গে আলোচনা করতে নয়াদিল্লিতে তলব করা হয়। সূত্রগুলো বলছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর