× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পরিধি বাড়ায় খুশি মেয়র আরিফ

দেশ বিদেশ

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
২৯ জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার

সিলেট সিটি করপোরেশনের সীমানা বর্ধিত করায় খুশি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এর জন্য তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনকে ধন্যবাদ জানান। দেশের সবচেয়ে কম আয়তনের সিটি করপোরেশন হচ্ছে সিলেট। মাত্র ২৭ টি ওয়ার্ড নিয়ে এ সিটি করপোরেশন। বর্তমান আয়তন সাড়ে ২৬ কিলোমিটার। নতুন বর্ধিতকরণের ফলে আরও ৩৩ কিলোমিটার এলাকা সিটি করপোরেশনের আওতায় আনা হলো। এখন মোট পরিধি প্রায় ৬০ কিলোমিটার। সিটি করপোরেশনের পরিধি বড় করার স্বপ্ন ছিল মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর।
এ কারণে প্রথম দফা মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি সিটি করপোরেশন এলাকাকে বড় করার দাবি তুলেছিলেন। তখন কাজও করেছিলেন। কিন্তু কারাগারে থাকার কারণে সেই কাজকে এগিয়ে নিতে পারেননি। দ্বিতীয় দফা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি নতুন করে সীমানা বর্ধিতকরণ করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। নির্বাচনের সময়ও তিনি সীমানা বর্ধিতকরণের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর প্রথম প্রস্তাব ছিল গোটা মেট্রোপলিটন এলাকার ৬টি থানাকে সিটি করপোরেশনের আওতায় নিয়ে আসা। কিন্তু এতো বিশাল জায়গা নিয়ে সিটি করপোরেশনের পরিধি বাড়ানো হঠাৎ করে সম্ভব নয়। এ কারণে কাটছাঁট করে পরিধি ছোট করা হয়। পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনও ১৮০ কিলোমিটার এলাকাকে নিয়ে সিটি করপোরেশন করার পক্ষে ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি সিলেটে ফিরে রাজনীতি শুরু করার সময় সীমানা বর্ধিত করার পক্ষে কাজ শুরু করেছিলেন। স্থানীয় মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে বিষয়টি আমলে নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চালান। মেয়র জানান- সিলেট সিটি করপোরেশনের চতুর্দিকে আশপাশের এলাকাও নগরে পরিণত হয়েছে। এ কারণে পরিধি বড় করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। প্রায় এক বছর আগে প্রস্তাবটি প্রেরণের পর সেটি চূড়ান্ত করতে সিলেট-১ আসনের এমপি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। মেয়র জানান- প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পাওয়ায় এখন চূড়ান্ত গেজেটের কাজ ৪-৫ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এরপর বর্ধিতকরণ এলাকা সিটি করপোরেশনের আওতায় চলে আসবে। বর্ধিতকরণ এলাকাকে উন্নত করতে বর্তমান পরিষদ কাজ করবে বলে জানান- মেয়র। সিলেট সিটি করপোরেশনের নতুন সীমানার মধ্যে সিলেট সদর উপজেলার চারটি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা সিটি করপোরেশনের আওতায় এসেছে। সদর উপজেলার টুকের বাজার ইউনিয়নের কুমারগাঁও, মইয়ারচর খুরুমখলা শাহ্‌পুর, আখালিয়া, খাদিমনগর ইউনিয়নের কুমারগাঁও, খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর প্রথম খণ্ড, কসবা কুইটুক, সুলতানপুর চক, পেশনেওয়াজ, টুলটিকর ইউনিয়নের সাদিপুর প্রথম খণ্ড, টিলাগড় ও দেবপুর। দক্ষিণ সুরমার কুচাই ইউনিয়নের হবিনন্দী, মণিপুর, আলমপুর, গোটাটিকর, বরইকান্দি ইউনিয়নের পিরিজপুর, ধরাধরপুর, বরইকান্দি, গোধরাইল এবং তেতলী ইউনিয়নের ধরাধরপুর, বরইকান্দি ও বলদির এলাকা। এদিকে- নগরের পূর্বদিকে সীমানা বর্ধিতকরণ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে সিটি করপোরেশন লাগোয়া খাদিমপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট আফসর আহমদের। গতকাল তিনি জানিয়েছেন- সিলেট-১ আসনের এমপি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন চেয়েছিলেন সুরমা গেইট বাইপাস পর্যন্ত এলাকাকে সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করতে। কিন্তু অনুমোদিত সীমানা বর্ধিকরণ এতোদূর পর্যন্ত যায়নি। খাদিমপাড়া ইউনিয়নের একাংশ নেয়া হয়েছে। যে অংশটিকে নেয়া হয়েছে সিটি হাওর, গ্রাম সংবলিত এলাকা। এতে কারো কোনো লাভ হবে না। দেবপুর এলাকার ওই অংশ সহ যদি শাহ্‌পরাণ পয়েন্ট, বহর মৌজার বিসিক শিল্প নগরী এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা হতো তাহলে ভালো হতো। নগর বর্ধিত করার সময় এলাকার মানুষ এই দাবি জানিয়েছিলেন। এ নিয়ে লিখিত আবেদনও জানানো হয়েছিল। সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আশ্বাস দেয়া হলেও এখন দেখা যাচ্ছে যে- গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে বাদ দিয়েই সিটি করপোরেশনের সীমানা বর্ধিত করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর