× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মুম্বই পুলিশের কাছে দুই তরুণীর অশ্রুসজল বয়ান- কীভাবে তাদের পর্নো ছবিতে অভিনয় করতে বাধ্য করা হত

ভারত

বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(২ বছর আগে) জুলাই ২৯, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
প্রতীকী ছবি

মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের কাছে দুই তরুণী অশ্রুসজল বয়ান দিয়েছে যে, কীভাবে রোয়া খান এবং গেহনা বশিষ্ঠ তাদের পর্নো ফিল্মে অভিনয় করতে বাধ্য করেছিল। উল্লেখ্য, রোয়া খান এবং গেহনা বশিষ্ট সম্প্রতি পর্নো কাণ্ডে রাজ কুন্দ্রার পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, কুন্দ্রা কোনো পর্নো ফিল্ম বানাননি, তিনি ইরোটিকা ওয়েব সিরিজ বানিয়েছেন। দুই তরুণীর বয়ানের পর রোয়া খান এবং গেহনা বশিষ্ঠকে মুম্বই পুলিশ জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। প্রথম তরুণী যে বয়ান দিয়েছে তার বয়স ২৫। মারাঠি, ভোজপুরি ও হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেছে। তরুণীটি তার বয়ানে বলেছে- এক কাস্টিং ডিরেক্টর রাউনক তাকে একটি চরিত্র অফার করে। দুই ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে রাওনক তাকে এবং অভিনেত্রী রোয়া খানকে নিয়ে একটি গাড়িতে মাধ আইল্যান্ড-এর মালভানি এলাকার গ্রীন পার্ক বাংলোয় যায়। রোয়া তাকে ২৫ হাজার টাকা দেয়া হবে শর্তে একটি স্ক্রিপ্ট দেয়, ছবির নাম সিঙ্গেল মাদার।
কিন্তু, কস্টিউম পরার পর রোয়া জানায় যে সে অত্যন্ত রোগা হওয়ায় এই ছবিতে তাকে মানাবে না। এরপর বর্তনওয়ালি বলে একটি ছবির স্ক্রিপ্ট দেওয়া হয়। এই স্ক্রিপ্টে এমন কিছু ডায়ালগ ছিল যে, তরুণী আপত্তি জানায়। তখন রোয়া এবং তার বান্ধবী প্রতিভা বলে সে যদি শুট না করে তাহলে এই শুটিং-এর যাবতীয় খরচ তাকে দিতে হবে। এই সময় লিড এক্টর ভানু আসে। রোয়া ভানুর সঙ্গে তাকে যৌন দৃশ্যে অভিনয় করতে বাধ্য করে। বিছানায় শুয়ে সেক্স এক্টে সে যখন অস্বস্তি অনুভব করছে তখন রোয়া চিৎকার করে বলে- তোমার কি বয়ফ্রেন্ড নেই যে, সংগমের দৃশ্যে এত জড়োসড়ো হয়ে থাকছো? দ্বিতীয় তরুণীর অভিজ্ঞতাও প্রায় একই রকম। হিন্দি ও মারাঠি সিরিয়ালের এই অভিনেত্রী এই তরুণীর বয়স ২০। তার এক বন্ধু অজিতের মাধ্যমে কাস্টিং ডিরেক্টর নরেশের সঙ্গে তার পরিচয়। নরেশ তাকে নিয়ে যায় মাধ আইল্যান্ডে। জানায় তাকে এক রানির রোলে অভিনয় করতে হবে আর এই ছবির প্রোডিউসার-ডিরেক্টর হল গেহনা বশিষ্ট। এরপর গেহনা আসে। ছবির স্ক্রিপ্ট দেখেই অভিনেত্রী বুঝতে পারে কি ছবিতে তাকে অভিনয় করতে হবে। সে আপত্তি করতেই গেহনা বলে শুটিং বানচাল হলে তাকে খরচের ২৫ লাখ টাকা দিতে হবে। এরপর তিনজন বামন আসে। তাদের ডায়ালগ ছিল- ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত রানীকে তারা ভোগ করতে পারবে না। ১৮ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর অন্য একটি ঘরে একে একে তিনজনের সঙ্গে নিবিড় যৌন দৃশ্যে অভিনয় করানো হয় তরুণীকে। গেহনা বলে- কোনো ভয় নেই ছবিতে তার মুখ ব্লার করে দেয়া হবে, কেউ চিনতে পারবে না। তরুণী পুলিশকে জানিয়েছে, পুরো শুটিং হয় দামি মোবাইলের ক্যামেরায়। পরে ছবিতে রাজার ভূমিকায় অভিনয় করা আকাশের সঙ্গেও সঙ্গম দৃশ্যে তাকে অভিনয় করতে বাধ্য করে গেহনা বশিষ্ট। তরুণী জানিয়েছে, গেহনার মুখেই সেদিন সে রাজ কুন্দ্রার নাম শোনে। দুই তরুণীর বয়ান রেকর্ড করার পর মুম্বই পুলিশ রোয়া খান ও গেহনা বশিষ্টকে জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রয়োজনে, এই তরুণীদের সঙ্গে বসিয়ে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর