× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রেসিডেন্টের শুদ্ধি অভিযান, তিউনিসিয়ায় তোলপাড়

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) জুলাই ২৯, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১:৫১ অপরাহ্ন

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ বিচারিক ক্ষমতা হাতে নেয়ার পর দেশের সিনিয়র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। প্রসিকিউটর এবং বিচারকরাও তা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী হিশেম মেচিচি’কে বরখাস্ত করে তিনি ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়েছেন। জারি করেছেন জরুরি অবস্থা। বিরোধী রাজনীতিকরা একে অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। এতে বলা হয়েছে, ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে প্রেসিডেন্ট এক মাসের জন্য নির্বাচিত পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন। এরপর শুরু করেছেন দমনপীড়ন।
এতে দেশটির অনিশ্চয়তা আরো গভীর হয়েছে। এক দশক ধরে সেখানে যে গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা আকস্মিকভাবে থমকে গেছে। রাজনীতিতে তুলনামূলক নতুন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের এসব কর্মকাণ্ডে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে যে, উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি সহসাই স্বৈরাচারের শাসকগোষ্ঠীর রূপ নিতে পারে।

২০১০ সালে এ দেশটিতে প্রথম বিপ্লব শুরু হয়। তাকে অভিহিত করা হয় আরব বসন্ত হিসেবে। রাজধানী তিউনিসের একজন শিক্ষক সুহা রাশেদ বলেছেন, এখন আমার অনুভূতি কি তা জানি না। দেশ এটা প্রত্যাশা করে কিনা তাও জানি না। উল্লেখ্য, দেশে অর্থনৈতিক অব্যবস্থায় বিরক্ত জনগণের প্রতিবাদ বিক্ষোভের পর প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন। এতে দেশটিতে করোনা মহামারি পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। রাজনীতি হয়ে পড়েছে বিকলাঙ্গ। তবে ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের হাতে নিয়ে নেয়া নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বেন গুয়েরডানের একজন অধিবাসী মোহাম্মদ আলি (৩৩) বলেন, তিনি এবং অন্যরা যাকে চিনতেন, যার পক্ষে ছিলেন, তারা ক্ষমতা নিয়েছেন। যা ঘটেছে, তাকে ভাল বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, জনগণ যা চায় তাই ঘটেছে দেশে। তবে কোথাও সত্যিকার গণতন্ত্র আছে এ কথা বিশ্বাস করেন না মোহাম্মদ আলি।

কিন্তু পার্লামেন্ট স্থগিত করার কারণে ক্ষোভে জ্বলছেন তিউনিসের আইনজীবী লামিয়া ফারহানি। অনেক পরিবারের মতো দেশে বিপ্লবের সময় তারও ব্যক্তিগত অংশগ্রহণ ছিল। সাবেক স্বৈরাচার জিনে আল আবিদিন বেন আলি পালিয়ে যাওয়ার একদিন আগে পুলিশ তার ভাই আনিসকে হত্যা করে। লামিয়া প্রতিষ্ঠা করেছেন এসোসিয়েশন অব ফ্যামিলিজ অব মার্টিরস অ্যান্ড ওন্ডেড অব দ্য রিভোল্যুশন। এই সংগঠন ওই সময় নিহত ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, তিনি দেখতে পেয়েছেন যে, দেশে এই সঙ্কট আসছে। তার ভাষায়- আমরা আগেই অনেকবার সব দলকে সংস্কার করার আহ্বান জানিয়েছি। প্রথম পদক্ষেপ হবে পার্লামেন্টকে অপদস্ত করা বন্ধ করা। রোববার কায়েস সাঈদকে নিয়ে আমরা আনন্দ করেছি। তিনি বলেন, এ সপ্তাহে দেশে যা ঘটেছে তা তিউনিশিয়ার গণতন্ত্রের অভিজ্ঞতার কোনো শেষ রেখা নয়। তিউনিশিয়ার জনগণ নিয়ন্ত্রিত হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর