অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা দেয়ার জন্য সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংঠন ল এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশন এর পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার ইমেইলে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং আইইডিসিআর এর পরিচালক বরারবার পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতেঅন্তঃসত্ত্বা নারীদের করোণা টিকা প্রদান শুরু করা না হলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার জন্য মহামান্য হাইকোর্টে প্রতিকার চেয়ে জনস্বার্থে রিট করার কথা বলেন।
নোটিশে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে অন্তঃসত্ত্বাদের করোনা ভ্যাকসিন দেয়া যাবে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অন্তঃসত্ত্বাদের ফাইজার এবং মর্ডানার উৎপাদিত কোভিড ভ্যাকসিন দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ ওইসব দেশের অন্তঃসত্ত্বা নারীরা করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আসছে। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। গবেষণা অনুযায়ী অন্তঃসত্ত্বা নারীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার অধিক ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এবং কোন কারণে আক্রান্ত হলে তাদের এবং শিশুর জীবন বিপদাপন্ন হয়ে পড়ে। অথচ অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সরকারের নির্ধারিত করোণা ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশনের সুরক্ষা এপে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিবন্ধন করার জন্য অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য কোন সুযোগ রাখা হয়নি। অথচ তাদের চেয়েও কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোণা টিকা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এই অধিকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত একটি মৌলিক অধিকার। তাদেরকে অগ্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করা একটি নিপীড়নমূলক, বৈষম্যমূলক এবং তাদের জীবনধারণের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
নোটিশে আরো বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লক্ষ নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়।
এই ৩৫ লক্ষ অন্তঃসত্ত্বা নারী আরো ৩৫ লক্ষ মানুষের অস্তিত্ব বহন করে। মহামারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং শিশুরা মারা যাচ্ছে। সঠিকভাবে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করোনার টিকার ব্যবস্থা করা গেলে অনেক হতাহত কমিয়ে আনা সম্ভব।