বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে অর্থাৎ তিন মাসে ৭.৮ বিলিয়ন ডলারের কোভিড ভ্যাকসিন বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছে ফাইজার। বুধবার দেয়া এক ঘোষণায় কো¤পানিটি জানিয়েছে, এ বছরের শেষ নাগাদ ৩৩.৫ বিলিয়ন ডলারের ভ্যাকসিন বিক্রি করবে বলেও তারা আশা করছে। এর আগে ২০২১ সালে ২৬ বিলিয়ন ডলারের ভ্যাকসিন বিক্রি হতে পারে বলে জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া বিশ্বজুড়ে কোভিড ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেয়ার পক্ষে মত দিতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে সামনে ভ্যাকসিনের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন ধারণা করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে সিএনবিসি।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোরলা বলেন, বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ছিল অসাধারণ। আমরা বায়োএনটেকের সঙ্গে মিলে বিশ্বজুড়ে কোভিড মোকাবেলায় গতি বৃদ্ধি করেছি এবং সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছি। বিশ্বজুড়ে এক বিলিয়নেরও বেশি ফাইজার ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে।
এছাড়া ফাইজারের অন্য ব্যবসাগুলোতেও ব্যাপক বৃদ্ধি লক্ষ করা যাচ্ছে। অনকোলজি শাখা থেকে এ বছর আয় বেড়েছে ১৯ শতাংশেরও বেশি। হাসপাতাল শাখায় আয় বেড়েছে ২১ শতাংশ। এছাড়া এর আভ্যন্তরীণ ওষুধ শাখার আয় বেড়েছে ৫ শতাংশ। ফাইজার এখন এর বুস্টার ডোজের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। এখনও সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বুস্টার ডোজের বিষয়ে সবুজ সংকেত দেয়নি। যদিও মার্কিন শীর্ষ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি বলেছেন, যেসব মার্কিন নাগরিকের প্রতিরোধক্ষমতা আছে, তাদের তৃতীয় ডোজ লাগবে না। আর এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ভালো করছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে ফাইজার-বায়োএনটেকের কাছ থেকে ২০ কোটির বেশি টিকা কিনেছে। এ টিকা শিশুদের দেয়া হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আরেক ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন এ বছর ২.৫ বিলিয়ন ডলার ভ্যাকসিন বিক্রির পূর্বাভাস দিয়েছে। আর মডার্না পূর্বাভাস দিয়েছে ১০.২ বিলিয়ন ডলারের ভ্যাকসিন বিক্রির।