× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে গোপালগঞ্জের ২ যুবক নিহত

বাংলারজমিন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
৩০ জুলাই ২০২১, শুক্রবার

লিবিয়ায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতদের মধ্যে দুই যুবকের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ও রাঘদি ইউনিয়নে। নিহত আফজাল মৃধা (৩০) মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের ধোপাদী গ্রামের একরাম মৃধার ছেলে ও নিহত সজীব মুন্সি (৩৫) মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের তপারকান্দি গ্রামের ফজলু মুন্সির ছেলে।  
নিহত আফজালের ভাই আজিজুল মৃধা জানান, মুকসুদপুর উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের মানবপাচার চক্রের সদস্য ইতালি প্রবাসী ইলিয়াস ফকির ও তার ভাই দুলাল ফকির আমার ভাইকে ইতালি নেয়ার স্বপ্ন দেখায়। আমাদের কাছ থেকে দু’দফায়  ৬ লাখ টাকা নেয়। গত ২০শে রমজান ইলিয়াসের ভাই দুলালের সহযোগিতায় আমার ভাই আফজাল লিবিয়ায় যায়। সেখানে কিছু দিন অবস্থান করে। সম্প্রতি নৌকাযোগে ইতালি যাওয়ার পথে লিবিয়া পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ৩২ দিন জেল খাটার পর আবারো ওই দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে আফজাল।
গত ১৯ই জুলাই দালাল চক্রের লোকজন লিবিয়া থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবির ঘটনায় আমার ভাই আফজাল ও প্রতিবেশী সজীবসহ আরও অনেকে মারা যায়। লিবিয়া পুলিশ আফজালের লাশ উদ্ধার করে ত্রিপোলির একটি হাসপাতালের মর্গে রেখেছে বলে জানতে পেরেছি। এদিকে নিহত আফজালের মৃত্যুর খবর তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে বাবা একরাম মৃধা ও মা মিনারা বেগমের কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা বলেন, আমরা বুকের ধন হারিয়েছি। এভাবে যেন আর কোনো মা-বাবার কোল খালি না হয়। দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। ছেলের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে প্রার্থনাও করেন তারা। তপারকান্দি গ্রামের সজীব মুন্সির শোকার্ত মা শাহানা বেগম বলেন, আমরা ছেলের সঙ্গে গত ১৮ই জুলাই শেষ কথা হয়েছে। তারপর আর কথা হয়নি। দালালরা তাকে জোর করে নৌকায় তুলে দিয়ে হত্যা করেছে। তাকে ইতালি পৌঁছে দিতে রাজৈর উপজেলার সত্যবর্তী গ্রামের দালাল শাহিন সরদার আমার কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা নিয়েছে। মুকসুদপুর থানার ওসি মো. আবু বকর মিয়া বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর