× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বঙ্গবন্ধু শিখিয়েছেন কিভাবে বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়

মত-মতান্তর

এড. মোমেন চৌধুরী
৪ আগস্ট ২০২১, বুধবার

রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু ছিলেন নীতি ও আর্দশের প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাঙালি জাতির চিরন্তর প্রেরণার উৎস। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। তার দেখানো পথেই তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কাঙ্খিত লক্ষ্যে।  

বঙ্গবন্ধুর মধ্যে যে তেজস্বীতা, কাজের প্রতি একাগ্রতা, বিশ্বাসের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা, স্বপ্ন দেখার অসাধারণ ক্ষমতা, অনন্য ব্যক্তিত্ব এবং দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা আমরা দেখেছি তা সবার জন্যই অনুকরণীয়। বাঙালিরা ভাগ্যবান যে তাদের একজন শেখ মুজিব ছিলেন, যার বজ্রকণ্ঠ, অনবদ্য সাহস ও অসাধারণ নেতৃত্ব না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে হয়তো আরও ৫০০ বছর লেগে যেতো। স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হতে দেয়নি। ‘বঙ্গবন্ধু সকলের রক্তে পাতা মেলুক, বঙ্গবন্ধু সকলের রক্তকে জাগিয়ে তুলুক এই স্বপ্ন দেখি’।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করাই হোক মুজিববর্ষে সকলের অঙ্গীকার।

১৯৭৫ সালের আগস্টের কালরাতে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পাশাপাশি হত্যা করেছে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে। এ ছাড়াও সেদিন ঘাতকদের হাতে প্রাণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকা- থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন।

জাতির পিতাকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে শোকের ছায়া, ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। দেশের মানুষ এখন অনুধাবন করতে পারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নস্যাৎ করে দেশে পাকিস্তানি ভাবধারা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই স্বাধীনতাবিরোধীরা এবং দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড ছুঁড়ে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল জাতির জনকের কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও এই ঘটনায় সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী ও আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত ও পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর করে জাতি আজ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।
লেখক: কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর