বাংলাদেশের পুরুষ প্রধান সমাজ একজন মেয়েকে মাথা তুলতে দিতে চায় না- ঢাকায় অভিনেত্রী পরীমনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর একাধিক ফেসবুক পোস্ট ও টুইটে এই কথা তুলেছেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তসলিমা এখন ভারতের দিল্লিতে বসবাস করেন। তসলিমা বলেছেন, পরীমনি পিরোজপুরের মত ছোট একটি জায়গা থেকে এসে রাজধানী ঢাকায় মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিলো বলেই তাকে চক্রান্তের শিকার হতে হয়েছে। নিদারুন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে স্মৃতিমনি থেকে তার পরীমনি হয়ে ওঠাটা বাংলাদেশের পুরুষতান্ত্রিকতা মানতে পারে নি।
তসলিমা প্রশ্ন তোলেন পুরুষরা বাড়িতে বসে মদ্যপান করলে তাদের স্মার্ট বলা হয় আর মেয়েরা বাড়িতে বসে মদ খেলে তারা বেশ্যা হয়ে যায়। বাড়িতে পার্টি করলে পুরুষদের ট্রেন্ডি বলা হয় আর নারীরা বেশ্যা হয়ে যায়? একজন পুরুষের একাধিক বান্ধবী থাকলে তাকে হট বলা হয় আর মেয়েদের একাধিক পুরুষ বন্ধু থাকলেই সে বেশ্যা হয়ে যায়? তসলিমার অভিযোগ, বাংলাদেশে কোনো পুরুষ ভালো কোনো কাজ করলে তার তারিফ করা হয়, মেয়েরা একই কাজ করলে বলা হয়, দ্যাখ, কার সঙ্গে শুয়েছে। তসলিমা তার ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, পরীমনি নিজের বাড়িতে যদি মদ খায়, নেশা করে, নগ্ন ছবিও তোলে তাহলে কারো কিছু বলার অধিকার নেই। সে যদি তার মেন্টর পুরুষ বন্ধুকে নিয়েও মদ খায় তাহলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কিছু থাকে না।
আসলে মেয়েটির উত্থান পুরুষ প্রধান সমাজ মেনে নিতে পারছিল না। উল্লেখ্য বাংলাদেশের র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ান পরীমনিকে গ্রেপ্তার করেছে বাড়িতে বেআইনি মদ, মাদক রাখার দায়ে। আনা হয়েছে পর্নো ছবিতে অংশ নেওয়া ও বানানোর অভিযোগ। নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন এই ব্যাপারেই গর্জে উঠেছেন।