হয়েও হচ্ছে না। লাল ফিতার গেরোয় আটকে রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ বিমান চলাচল। এবার এই পরিষেবা চালুর দাবি জানিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাল ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পরিষদ। চিঠিতে তারা লিখেছে, হাজার হাজার মানুষের রুটি রুজি নির্ভর করে দু'দেশের নিবিড় যোগাযোগে। বিমান চালু না হওয়ায় বিপন্ন হচ্ছে দুই দেশের মানুষ। বিপন্নতার পরিমাণটা কত? মৈত্রী সমিতি এই কথা জানায় নি, কিন্তু মানবজমিনের সমীক্ষায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। বিমান চলাচল ২০ আগস্ট চালু হবে ধরে নিয়ে বাংলাদেশি রোগীদের অনলাইন বুকিং নিয়ে বেশ কিছু সার্জারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রাইভেট হাসপাতালগুলিতে। সেগুলি সবই ভেস্তে গেছে।
বেশ কিছু বাংলাদেশি নাগরিক কলকাতায় হোটেলও বুক করেছিলেন। তাও পন্ড হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ হোটেলিয়ার্স আসোসিয়েশন-এর এক মুখপাত্র বলেন, তাদের আশা ছিল বিমান নিয়মিত চললেই টুরিস্ট ভিসা দেয়া শুরু হবে। নিউ মার্কেট, মির্জা গালিব স্ট্রিট, মারকুইস স্ট্রিট, সদর স্ট্রিটের বাণিজ্য আবার ভালো হবে। কিন্তু, দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু না হওয়ায় সে গুড়ে বালি পড়েছে। আফগানিস্তানের তালেবান সংকট এর অন্যতম নেপথ্য ঘটনা বলে মনে করছেন অনেক সমীক্ষক। তাদের ধারণা, আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকতে পারে নাশকতার ছক নিয়ে আসা জঙ্গিরা সেই কারণেই বিমান চালু করা হয়নি। তবে সব পক্ষের ধারণা, বিমান চলাচলের এই সংকট কাটবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই। তৃতীয় ঢেউ এর শঙ্কা কেটে গেলে চালু হবে টুরিস্ট ভিসা।