থানকুনি। কেউ কেউ টেয়া, মানকি, আদামনি, ঢোলামানি, মানামানি , ধূলাবেগুনসহ আরও অনেক নামেই চিনেন। ইংরেজিতে Indian Pennywort। তিতকুটে স্বাদের থানকুনি অত্যন্ত উপকারী। বহুবর্ষজীবী এই থানকুনি ব্যবহার করা যায় খাদ্য এবং ওষুধ হিসেবে। এর বাইরেও রয়েছে নানান উপকারিতা। জেনে নেয়া যাক এমন কয়কেটি…
# এক চামচ করে থানকুনি ও শিউলি পাতার রস মিশিয়ে রোজ সকালে খেলে জ্বর ভাল হয়। মুখের স্বাদ ফেরে।
# দুধের সঙ্গে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে পেটের এসিডিটি কমে।
# থানকুনি পাতা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ।
রক্ত দূষণ থেকে মুক্তি দেয়।
# খুসখুসে কাশি দূর করতে থানকুনি পাতার রসের ভূমিকা অতুলনীয়।
# আমাশয়ে ভুগেন যারা তারা থানকুনি পাতার রস খেয়ে দেখতে পারেন। চমৎকার ফলদায়ক।
# বাচ্চাদের লিভারের সমস্যা দূর করতে থানকুনির রস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকেই।
# মূলসহ থানকুনি গাছ সেদ্ধ পানি দিয়ে দূষিত ক্ষতস্থান ধুলে দ্রুত সেরে যায়।
# চুল পড়া রোধেও থানকুনি চমৎকার উপকার করে। যাদের ঘুমের সমস্যা তারা নিয়মিত থানকুনি পাতা খেতে পারেন। দিনে দুইবার ২ থেকে ৪ চামচ থানকুনির রস ও মধু মিশিয়ে খেলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।
# যারা বাতের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী থানকুনি পাতা। এটি প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে।