রোববার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছেন নুসরাত জাহান। তার আগে একটা কাজের কাজ সেরে ফেললেন। সদ্যজাত পুত্রর নামকরণের কাজটা সেরে ফেললেন। ছেলের নাম তিনি রাখলেন ঈশান। যশ দাশগুপ্তর নামের আদ্যক্ষরে ইংরেজি ওয়াই শব্দটি আছে, ঈশানেও তাই। এটা কি কাকতালীয় না ইচ্ছাকৃত? না। এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। কারণ, পার্ক স্ট্রিট এর হাসপাতালে নুসরাতের কেবিনের বাইরে বসে আছেন ভীষণদর্শন দুই বাউন্সার।
তারা পালা করে পাহারা দিচ্ছে ২৪ ঘণ্টাই। কেবিনে একদম অবাধে যাওয়ার পারমিশন আছে যশ দাশগুপ্তর। নুসরাতের ইচ্ছা অনুযায়ী 'বন্ধু' যশ ২৪ ঘণ্টার বেশিরভাগ সময়টাই কাটাচ্ছেন নুসরাতের কেবিনে। তবে, যশই যে ঈশানের বাবা তা এখনও খোলাখুলি ঘোষণা করেননি নুসরাত। কলকাতার দুই বিখ্যাত সিঙ্গেল মাদার চিত্রপরিচালিকা অনিন্দিতা সর্বাধিকারী এবং চিত্রশিল্পী ইলিনা বণিক খোলাখুলি ভাবে জানিয়েছেন, নুসরাত যেন তার সন্তানের পিতৃ পরিচয় ফাঁস না করেন। যে ভাবে তিনি একক প্রচেষ্টায় ঝড় ঝাপ্টা সামলে সন্তানকে দিনের আলো দেখিয়েছেন, তাতে তার সন্তানের আর পিতৃ পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। সিঙ্গেল মাদার হিসেবেই সন্তানের প্রতিপালন করুন তিনি। জুরিখ থেকে শ্রীলেখা মিত্র নুসরাতকে তার সাহসের জন্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন। শ্রীলেখা লিখেছেন, আমি নুসরাতের রাজনীতি বা অন্য কাজ পছন্দ করি না, কিন্তু তার সন্তান নেয়ার সাহসিকতাকে প্রশংসা করি। সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নুসরাত সন্তানের জন্ম দিয়েছে। কুর্নিশ নুসরাতকে।