নুসরাত জাহান সম্পর্কে একটি কথাও উচ্চারণ করতে রাজি নন নিখিল জৈন। টেলিফোনের জবাবে শুধু জানালেন, নবজাতককে তিনি শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সুন্দর একটি জীবন পাওয়ার জন্য। শিশুটির চলার পথ যেন মসৃণ হয়। নুসরাতের সঙ্গে তার সম্পর্ক যেমনই হোক, নবজাতককে নিখিল জৈন এই ভাবেই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন। রঙ্গোলি শাড়ির ডিরেক্টর জানালেন যে, তিনি এখন ব্যস্ত পুজোর শাড়ির ডিজাইন নিয়ে। সম্প্রতি শান্তিনিকেতনে একটি শাড়ির প্রমোশনাল শুটও হয়েছে। ২০১৯ সালের ১৯ জুন নিখিল-নুসরাত বিয়ে করেন তুরস্কে। তারপর রিসিপশন দেন কলকাতায়।
সেই রিসিপশনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিচ্ছেদ হওয়ার পরে নুসরাত তুরস্কের বিয়েটিকে আইনানুগ বিয়ে নয় বলে বিবৃতি দেন। এই বিবৃতির পাল্টা হিসেবে নিখিল জৈন সেদিন যা বলেছিলেন, আজও তাই বললেন- বিয়েটা ভারতীয় আইনে রেজেস্ট্রি করার কথা আমি নুসরাতকে বারবার বলেছিলাম ও রাজি হয় নি। এর বেশি কিছু আর বলতে রাজি নন নিখিল জৈন। কারণ, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। বিয়ে আনালমেন্ট করার জন্যে আলিপুর আদালতে মামলা করেছেন নিখিল। সেই মামলার শুনানি হতে পারেনি শেষমুহূর্তে নুসরাত আইনজীবী বদল করায়। সেপ্টেম্বরে আবার ডেট পড়েছে। তাই, নিখিল এই বিষয় নিয়ে একটি কথা বলতেও রাজি নন।
নিখিল কথা বলতে রাজি না হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় যেন থামছে না বিষয়টি নিয়ে। বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা, ভারতে আশ্রয় নেয়া তসলিমা নাসরিন পোস্ট করেছেন, নুসরাতের ঘটনাকেও অনেকে প্রগতিশীলতা বলে অভিহিত করছেন। এই প্রগতিশীলতা সমাজের উচ্চবিত্তদের ক্ষেত্রে বলা হয়। নিম্নবিত্তদের তো জারজ বলে ছুঁড়ে ফেলা হয়। মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটলে তা প্রগতিশীলতা বলে মেনে নেওয়া হবে তো? নাকি ভ্রুন ধারণ করার অপরাধে ঝুঁকি নিয়েও ডাক্তারের ছুরি কাঁচিতে মা-কে মরতে হবে? তবে, তাসলিমা নুসরাতের সাহসের প্রশংসা করে লিখেছেন, সন্তানের বাবা কে সেটা জানাটা জরুরি নয়।