এক বছর পরে মৃত ছেলে শুভ্রজিত চট্টোপাধ্যায়ের আরটিপিসিআর টেস্ট এর রিপোর্ট হাতে পেয়ে ডুকরে কেঁদে উঠলেন উত্তর চব্বিশ পরগনার বাসিন্দা মা শ্রাবনী চট্টোপাধ্যায়। এক বছর আগে তিনি ও তার স্বামী বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন। তখন ঘোর করোনা কাল। কোনো হাসপাতালে বেড পায়নি শুভ্রজিত। বেলঘরিয়ার একটি নার্সিং হোম শুভ্রজিতের পরীক্ষা করে রায় দেয় সে করোনা পজিটিভ। কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ ইছাপুরের ছাত্রটিকে প্রত্যাখ্যান করে সে কোভিড পজিটিভ বলে। শেষপর্যন্ত আত্মঘাতী হওয়ার হুমকি দিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজে একটি বেড পায় শুভ্রজিত। ততক্ষনে অবশ্য তার জীবনের শেষ ঘন্টা বেজে গেছে।
ইছাপুরের ১৮ বছরের শুভ্রজিত চির ঘুমের দেশে চলে যায়।
হাইকোর্টে অভিযোগ জানান বিশ্বজিৎ-শ্রাবনী। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় শুভ্রজিতের ভিসেরা পরীক্ষার। সেই রিপোর্ট গত বছরের জুলাই মাসের পর এই ২০২১ এর আগস্টে পেয়েছেন বিশ্বজিৎ-শ্রাবনী। রিপোর্টে দেখা গেছে শুভ্রজিত কোভিড নেগেটিভ ছিল। বাবা মায়ের আর্তনাদ, সেই দিন ভুল রিপোর্ট না হলে ছেলেটা হয়ত চিকিৎসা পেত। বেঁচে যেত। কার দোষে এটা হল?
কার দোষ তা হয়ত হাজার অনুসন্ধানেও বের হবে না, কিন্তু বাস্তব হল এক করোনা নেগেটিভকে পজিটিভ বলে চালানোয় প্রাণ গিয়েছিলো এক তরতাজা তরুণের। এই দায় কার?