আপাতদৃষ্টিতে এই ঘটনা কোনো তরঙ্গ অথবা অভিঘাত সৃষ্টি করে না। যে দেশে প্রতি মিনিটে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে, সেখানে এ আর নতুন কি? কিন্তু, ৪০ বছর বয়স্ক মহিলা চিকিৎসক ডা. অবন্তিকা ভট্টাচার্য এর আত্মহননের ঘটনায় নতুনত্ব আছে। তিনি মৃত্যুর আধ ঘন্টা আগে ফেসবুক পোস্টে জানিয়ে গেছেন, পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চিকিৎসকদের বদলিতে কি ধরনের বৈষম্য হয়। আট বছর অবন্তিকা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে কমিউনিটি মেডিসিনের অধ্যাপিকা হিসেবে কাজ করছিলেন। সম্প্রতি তাকে ফের বদলি করা হয় ডায়মন্ডহারবারে। স্বামী মুর্শিদাবাদে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ। আট বছরের মেয়ে অটিজম এর রোগী। অবন্তিকা এবার হোমটাউন অর্থাৎ কলকাতায় পোস্টিং চেয়েছিলেন।
কিন্তু, তাঁকে বদলি করা হয় ডায়মন্ডহারবারে। কদিন আগে চাকরি ছেড়ে দিতে চেয়ে তিনি স্বাস্থ্য ভবনে ফোনও করেছিলেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, জানিনা আর কিসে শান্তি পাবো? এই অন্যায় মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এরপরই বেহালার বাড়িতে গায়ে আগুন দিয়ে অবন্তিকা আত্মঘাতী হন। ডা. অবন্তিকা ভট্টাচাৰ্য মরে বেআব্রু করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বদলি নীতির বৈষম্যকে। রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. প্রদীপ মিত্র বলেছেন, দীর্ঘদিন জেলায় কাজ করছেন এমন ডাক্তারদের কলকাতায় বদলি করার একটা নীতি তিনি নিয়েছিলেন। কিন্তু, তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বাস্তুঘুঘুদের টনক কি অবন্তিকার আত্মবলিদানের পর নড়বে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে কি বলেন?