আলোচনায় পরীমনি। ফোবর্স-এ স্থান পাওয়া থেকে শুরু করে বোর্ট ক্লাবে ধর্ষণের অভিযোগ। এরপর অভিযান। অভিযান শেষে ২৮ দিনের লড়াই।
ঢাকাই চলচিত্রের আলোচিত এই নায়িকা নিয়ে নেটিজেনরা রং ছড়াতে ব্যস্ত। গণমাধ্যমের ফেসবুক পেইজে ছড়িয়ে যাচ্ছে বাজে সব মন্তব্য। কুণ্ঠাবোধ করছেন না গণমাধ্যমকর্মীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতেও। অনেকেই লেখেন- দেশে এতো সংবাদ থাকতে কেনো এসব সংবাদ প্রকাশ করা হয়? এতো বাজে মন্তব্য করা হয় যে, নিজেরাই হয়ত উচ্চারণ করে পড়তে লজ্জা পাবেন। বিরোধীতা কিন্তু যুক্তি দিয়েও করা যায়।
আবার পরীমনির পাশেও দাঁড়িয়েছেন অনেকে।
নেটিজেনদের এই অংশ পরীমনির পক্ষে লিখেছেন। মুক্তি চেয়েছেন। ফলে পক্ষে বিপক্ষে দেখা দিয়েছে বিভক্তি।
পরীমনি অপরাধ করেছেন কি করেননি তা প্রমাণ হবে আদালতে। গণমাধ্যমকর্মীরা প্রতিদিনের তথ্য তুলে ধরবেন এটাই স্বাভাবিক। এটাই গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্ব। গণমাধ্যমকর্মীরা না জানালে আপনারা জানতেন কোথা থেকে?
শুধু পরীমনি নয়, বিনোদনের বিভাগের সংবাদের নিচে দেখা যায় নানা নেতিবাচক মন্তব্য। একটা বিষয় বুঝতে হবে, এই বিভাগটার কাজই বিনোদন জগতের মানুষদের কথা বলা। আপনার মন্তব্য, দেশে এতো কিছু হচ্ছে আর ব্যস্ত আছেন কার সাজ কেমন। তাহলে বিনোদন বিভাগের কাজটা কি? বিনোদন বিভাগ বিনোদনের সংবাদ প্রকাশ করা ছেড়ে রাজনৈতিক সংবাদ প্রকাশ করবে? আর রাজনৈতিক বা দেশের সংবাদের থেকে বিনোদনের সংবাদের কাটতি বেশি কেন? আপনারা পড়েন বলেই। তবে, পড়াটাকে অন্যায় বলছি না একবারও।
হাতে হাতে স্মার্ট ফোন। স্মার্ট ফোনের থেকে বেশি ফেসবুক একাউন্ট। আপনার হাতে ক্ষমতা আছে বলেই যা খুশি মন্তব্য করছেন। কিন্তু মনে রাখবেন এই মন্তব্যগুলো কিন্তু আপনার পরিবারও দেখছে। দেখছে স্বজনরা। পরীমনিকে নিয়ে সরগরম। নাম বাড়ছে পরীমনির। আর আপনার? আপনার স্বজনরাই কিন্তু আপনার নিকৃষ্টতা দেখছে। আর এসব মন্তব্যের ফলে কিন্তু রিচ বাড়ছে গণমাধ্যমগুলোর ফেসবুক পোষ্টেও। আর তলানীতে ডুবাচ্ছেন আপনারা নিজেকে। প্রতিবাদ আপনারা করতেই পারেন। কিন্তু সেটা কি শালীন ভাষায় করা যায় না?