× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চলতি মাসের শেষদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমতে পারে- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, শনিবার

চলতি মাসের শেষদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ মাসের পর থেকে আমাদের দেশে এডিস মশা এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমবে বলে আশা করি। গতকাল রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে নগরবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণ’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। মশা নিধনে সরকার শুধু সিজন আসলেই কাজ শুরু করে এমন অভিযোগ নাকচ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মশার প্রকোপ বাড়লেই শুধু নিধন শুরু হয় এটি ঠিক নয়। সরকার সারা বছর ধরেই মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ‘জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর, মশা নিধন বছর ভর’ এই নীতি অনুসরণ করে মশার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। প্রতি মাসেই সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে সভা করে স্ব স্ব দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়া হয়। এরপর সবাই অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন।
এ ব্যাপারে কারও অবহেলা করার সুযোগ নেই।
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা প্রদান করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে কেউ যদি সহযোগিতার জন্য আবেদন করেন তাহলে সেটি অবশ্যই বিবেচনায় নেয়া হবে। প্রতিটি মৃত্যুই অত্যন্ত বেদনাদায়ক যা আমাদেরকে মর্মাহত করে। আমরা কেউ এ ধরনের মৃত্যু চাই না। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে যারা মারা গেছেন তাদের কোনো পরিবার সহযোগিতা চাইলে সেটা আমলে নেয়া হবে।
মশক নিধন এবং পরিচ্ছন্নকর্মীরা নিয়মিত হাজিরা না দিয়ে অর্থ উত্তোলন করছেন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য সুপারভাইজার বা পরিদর্শক অথবা সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তাকে নিয়োগ করার জন্য সিটি করপোরেশনকে বলা হয়েছে এবং তারা তা করছে। কেউ যদি এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মৃত্যু নিয়ে তথ্য বিভ্রাট তৈরি হচ্ছে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে যারা আক্রান্ত অথবা মৃত্যুবরণ করছেন তাদের তথ্য নিয়মিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হচ্ছে। একাধিক উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করায় শুধু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নাকি অন্য কোনো কারণে মারা গেছেন এগুলো আইইডিসিআর থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়তো একটু সময় লাগতেছে, কিন্তু সব হাসপাতাল থেকে সঠিক তথ্য আসতেছে। মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কাজ করবে কিন্তু জনসম্পৃক্ততা লাগবেই। সবার অংশগ্রহণ ছাড়া যেকোনো কিছু মোকাবিলা করাই অসম্ভব। তাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এর থেকে উত্তরণ দুরূহ হবে না। আমি আশা করি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু থেকে নগরবাসী মুক্তি পাবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, মশক নিধনে ঢাকার সিটি করপোরেশন দুটিতে প্রতিবছর বড় অঙ্কের আর্থিক বরাদ্দ দেয়া হলেও তেমন সুফল মিলছে না। মশক নিধনে নাগরিক কমিটি গঠন করার কথা বলা হলেও দৃশ্যমানভাবে তা দেখা যায় নাই। ডেঙ্গু প্রতিরোধে করোনার মতো জাতীয় পর্যায়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা উচিত। যে কমিটি কীটতত্ত্ববিদ, জনস্বাস্থ্যবিদ, প্রাণীবিজ্ঞানী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত হতে পারে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশন যৌথভাবে এনজিওদের সমন্বয়ে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর