তিনদিন পুলিশ রিমান্ডে কাটিয়েছেন মেখলিগঞ্জ থানার লকআপে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে। বুধবার রাত থেকে জায়গা হয়েছে মেখলিগঞ্জ সাব জেলের কুঠরিতে অন্য বন্দিদের সঙ্গে গাদাগাদি করে সাধারণ ওয়ার্ডে। কিন্তু বাংলাদেশের পুলিশ কর্তা সোহেল রানা তার পুলিশি মেজাজটা আর ছাড়তে পারছেন না। জেলের অন্য ইনমেটদের ওপর হুকুমবাজির অভ্যাসটা তিনি ছাড়তে পারেননি। বাড়তি একটা মনোযোগ পাচ্ছেন বিদেশি হওয়ায়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। কলকাতায় কারা বিভাগের খবর অনুযায়ী- সোহেল রানাকে একজন অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তাকে সাধারণ সেলেই রাখা হয়েছে।
ঘুমানোর জন্য কঠিন মেঝে ও একটি কম্বল, প্রাতরাশে লপসি আর এক মগ চা। দুপুরে ডাল-ভাত, সবজি। রাতে এক পিস ডিম কিংবা এক চিলতে মাছ। সপ্তাহে একদিন মাংস। বাতানুকূল ব্যবস্থায় থাকতে অভ্যস্ত সোহেল রানা সলিটারি সেলের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু রাজ্যের কারা বিভাগ থেকে এইরকম কোনো নির্দেশ না আসায় মেখলিগঞ্জ সাব জেল সোহেল রানার জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থা রাখেনি। রাজ্যের কারা দপ্তরের এক অফিসার জানান- তারা জানেন যে, সোহেল রানা বাংলাদেশে হোয়াইট কালার ক্রাইম-এর সঙ্গে যুক্ত। এটাও জানেন যে, বাংলাদেশ সরকার তাকে ফিরে পেতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু কোর্টের আদেশে সোহেল রানা এদেশে একজন অনুপ্রবেশকারী। তাই তার ব্যবস্থা জেলে সাধারণ অনুপ্রবেশকারীদের মতোই। কোর্ট কোনো বিশেষ আদেশ দিলে তবেই সোহেল রানা কোনো সুবিধা পেতে পারেন, তার আগে নয়। বাংলাদেশ কিন্তু সোহেল রানাকে ফেরত চায়। ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত সোহেল রানার বিচার তারা চায় বাংলাদেশের মাটিতেই।