রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের একটি সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালকরা। স্বাস্থ্য কমিশন ঠিক করেছে একই চিকিৎসার কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ভেলোরের ক্রিস্টিয়ান মেডিকেল কলেজের বিল। দুয়ের মধ্যে যে আসমান জমিনের ফারাক তা বুঝিয়ে দেওয়া হবে এই ভাবে। তাহলে কেন মানুষ কলকাতার চিকিৎসা পরিষেবা ছেড়ে ভেলোরে ছোটে তারা তা বুঝতে পারবেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৯ জানুয়ারি উত্তর চব্বিশ পরগনায় সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে। একটি বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন বিকাশ চন্দ্র মন্ডল। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাগাতার চিকিৎসার পর জানানো হয় যে, পায়ে গ্যাংগ্রিন হয়ে গেছে। পা কেটে বাদ দিতে হবে।
বিকাশ মন্ডলের পরিজনরা তাকে ভেলোরে নিয়ে যান। কলকাতায় চিকিৎসার বিল হয় ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। ভেলোরে ১৯ দিনের চিকিৎসায় সুস্থ হন বিকাশ চন্দ্র মন্ডল। তার পা বাদ দিতে হয়নি। ক্র্যাচ নিয়ে হাঁটতে হচ্ছে এবং ১৯ দিনের বিল হয় ১ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা।
বিকাশ চন্দ্র মন্ডল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনে যান। তারপরই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত। এর ফলে বেজায় চটেছেন কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা। বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও একটি প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ কুনাল সরকার বলেছেন, এটা কলকাতাকে ছোট করার একটা প্রয়াসমাত্র। চারটি অপারেশন হয়েছিল ওই বিকাশ মন্ডলের। ভেলোর শুধু ড্রেসিং করেছে। তাই বিলে এত অসঙ্গতি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এরপর কি ভেলোরের চুল কাটার সেলুনের বিল পাঠিয়ে তুলনা করা হবে কলকাতার স্নায়ুর অপারেশনের বিলের? আর এক প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক রূপক বড়ুয়া বলেছেন, ভেলোরের ক্রিস্টিয়ান মেডিকেল কলেজ চালায় একটা ফাউন্ডেশন। তারা অনেক টাকা অনুদান পায়। আর কলকাতার প্রাইভেট হাসপাতাল গুলিকে নিজের পায়ে চলতে হয়। এই বৈষম্য করা দুর্ভাগ্যজনক।