ডানলপ মোড়ে ফুটপাথে রাত্রিযাপন করা, ছেঁড়া জামাকাপড় পরে ঘুরে বেড়ানো ইরা বসু আমারই বোন। উনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচাৰ্যর শালিকা। কিন্তু, স্বেচ্ছায় ইরা এই জীবন বেছে নিয়েছে। বরাবরই স্বেচ্ছাচারী ও। ইরার জন্য বারবার পরিবারের মান সম্মান ধুলোয় মিশেছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচাৰ্যর পত্নী মীরা ভট্টাচাৰ্যর এই বিবৃতি সামনে আসতেই হইচই শুরু হয়ে যায়। বুদ্ধদেব পত্নী বিবৃতিতে লিখেছেন, সল্টলেকের বি বি চুরাশি নম্বর প্লটে ইরা বসুর বাড়ি আছে। তিনি দীর্ঘদিন প্রিয়নাথ বালিকা বিদ্যালয়ে জীবনবিজ্ঞান এর শিক্ষিকা ছিলেন।
টাকা পয়সার ঘাটতি নেই। কেন ও ফুটপাথে রাত কাটায় আমার জানা নেই। শুক্রবার বরাহনগর পুরসভার উদ্যোগে লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতাল এসে তুলে নিয়ে যায় ইরা বসুকে। বিশিষ্ট মনোচিকিৎসক রত্নাবলী রায় আবার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, রাস্তায় তো কত শত ভবঘুরে ঘুরে বেড়ায়, ফুটপাথে রাত্রিযাপন করে, তাদের বেলায় তো এই সরকারি তৎপরতা চোখে পড়ে না? রত্নাবলী রায় আর একটি প্রশ্ন তুলেছেন। ভারতীয় মানসিক স্বাস্থ্যবিধির ১০০ নম্বর ধারা অনুযায়ী কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে কাউকে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যায় না। তাহলে এ ক্ষেত্রে কি হল? ইরা বসু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শালিকা বলেই কি এই তৎপরতা?